বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, এমপি বলেছেন, করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর কারনে বাংলাদেশে বাণিজ্য ক্ষেত্রে এর প্রভাব গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে। প্রয়োজনে সরকার সবধ রনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী রবিবার (৮ মার্চ) ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অফ কমার্স (বিআইসিসি) আয়োজিত কর্মশালায় দ্বিতীয় সেশনে নিউ ইনকোটার্মস-২০২০ রুলস এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ক্রমবর্ধমান বিশ্ববাণিজ্যে বিধিবিধান সময়োপযোগী হওয়া প্রয়োজন। বাণিজ্য বিরোধ নিরসনে ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অফ কমার্স (আইসিসি) গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাণিজ্যে নতুন নতুন সমস্যা দেখা দেয়। এজন্য প্রচলিত নিয়ম-কানুনগুলোরও পরিবর্তন প্রয়োজন হয়। ওয়ার্ল্ড বিজনেস অর্গানার্জেশনের সহায়তায় সময়ে সময়ে তালমিলিয়ে নতুন রুলস প্রবর্তন করা হয়। এজন্য নিউ ইনকোটার্মস-২০২০ রুলস চালু হতে যাচ্ছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। বিদেশী বিনিয়োগও বাড়ছে। গত বছর ৮.১৫ ভাগ জিডিপি অর্জিত হয়েছে। এ বছর জুলাই-অক্টোবর সময়ে দেশে ৫.০৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেষ্টমেন্ট এসেছে। গত বছর দেশের রপ্তানি আয় ছিল ৩৯.৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। দিনদিন সালিশের মাধ্যমে বাণিজ্য রিবোধ সমধানের গ্রহনযোগ্যতা বাড়ছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সকল ক্ষেত্রে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ আগামী ২০২৪ সালে উন্নয়নশীল দেশে পরিনত হবে। প্রতিযোগিতা করেই বাংলাদেশকে বিশ্ববাণিজ্যে এগিয়ে যেতে হবে। বাণিজ্য বৃদ্ধির সাথে সাথে বাণিজ্য বিরোধও বাড়বে, এটাই স্বাভাবিক। নতুন সমস্যা সমাধানে প্রয়োজন নতুন নিয়ম কানুন। নতুন নতুন বাণিজ্য বিরোধ সমাধানে নিউ ইনকোটার্মস-২০২০ রুলস অধিক কার্যকর হবে বলে বিশ্বাস করি।
বাণিজ্যমন্ত্রী “ নিউ ইনকোটার্মস-২০২০ রুলস” এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অফ কমার্স এর প্রেসিডেন্ট মাহবুবুর রহমান, মিউচুয়াল ট্রাষ্ট ব্যাংক এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান এবং আইসিসি বাংলাদেশ ব্যাংকিং কমিশনের চেয়ারম্যান এবং সিইও মুহাম্মদ এ রুমি আলী।