নিজস্ব প্রতিবেদক: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, এমপি বলেছেন, দেশে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসহ সকল পণ্যের মজুত, সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রয়েছে। করোনা ভাইরাসের কারনে আতঙ্কিত হয়ে কোন পণ্য অতিরিক্ত ক্রয় করার প্রয়োজন নেই। যে কোন অপপ্রচার থেকে সতর্ক থাকতে হবে। এজন্য ভোক্তাকে সচেতন হতে হবে। আসন্ন পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে চাহিদার কয়েকগুন বেশি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য মজুত করা হয়েছে। তেল, ডাল, চিনি, পেঁয়াজ, রসুন, সোলা, লবনসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য মজুত নিশ্চিত করা হয়েছে। বিগত বছরের চেয়ে এবার নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মজুতের পরিমান প্রায় ৪০ শতাংশ বেশি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বুধবার (১৮ মার্চ) বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ সকল পণ্যের মজুত, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, টিসিবি’র মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রয়ের সক্ষমতা কয়েকগুন বাড়ানো হয়েছে। আগামী এপ্রিল মাসের প্রথম থেকেই টিসিবি ন্যায্যমূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য খোলা বাজারে বিক্রয় শুরু করবে। দেশে পেঁয়াজের মূল্য স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। দেশীয় পেঁয়াজ বাজারে এসেছে, পাশাপাশি বিগত ১৫ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত প্রায় আট হাজার মেট্রিক টন পোঁয়াজ আমদানি হয়েছে। পণ্য সামগ্রীর সরবরাহ ও মূল্য নিয়ে আতঙ্কিত হবার কোন কারন নেই। সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেতন হতে হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর বাজার তদারকি ইতোমধ্যে জোরদার করেছে। ভোক্তাদের সচেতন করতে দেশের প্রচার মাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। ইতোপূর্বে লবণ নিয়ে অপপ্রচার রোধে দেশের প্রচার মাধ্যমগুলো গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। আগামী দিনগুলোতেও আমরা প্রচার মাধ্যমের সহযোগিতা চাই। পণ্যের মজুত পর্যাপ্ত রয়েছে, মানুষকে সচেতন করা প্রয়োজন। সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলে মুল্য বৃদ্ধির কোন কারন নেই, সরকার সকল পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নিয়েছে। কৃত্তিম সংকট তৈরীর প্রবনতা রোধ করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাণিজ্যসচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন, অতিরিক্ত সচিব মো. ওবায়দুল আজম, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) বাবলু কুমার সাহা, টিসিবি’র চেয়ারম্যান ব্রি. জে. মো. জাহাঙ্গীর।