বুধবার , জানুয়ারি ২২ ২০২৫

গুজব বন্ধে বাংলাদেশ পোলট্রি খামারি পরিষদ’র চিঠি

গোলাম মুরতুজা হোসেন : দেশের পোল্ট্রি খামারীরা দীর্ঘদিন ধরে নানাবিধ কারণে ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন। দীর্ঘ সময় ক্ষতির পর খামারি যখন নায্য মূল্যে মুরগি বিক্রির স্বপ্ন দেখছিলেন ঠিক সেই সময়েই সারা দেশে নভেল করোনা ভাইরাস (Covid-19) আঘাত হানে। এমতাবস্থায় দেশের জনগোষ্ঠীর অনেকের ভেতর একটি মিথ্যা ভয় ঢুকে গেছে যে, পোল্ট্রি মুরগি বিশেষত বয়লার মুরগির মাংস হতে ছড়িয়ে পড়ছে নভেল করোনা ভাইরাস! এই ভিত্তিহীন গুজবটি এতো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে যে, সারাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিশেষত গ্রাম অঞ্চলে বয়লার মুরগি বিক্রি শূণ্যের কোঠায় পৌঁছে গেছে। এমতাবস্থায় গুজব বন্ধের দাবি ও পোল্ট্রি মাংস গ্রহণের প্রচার করতে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ঠাকুগাঁও জেলা প্রাণিসম্পদ বরাবর চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ পোলট্রি খামারি পরিষদ। সংগঠনের যুগ্ম সমন্বয়কারী মো. ওবায়দুল ইসলাম (শুভ) স্বাক্ষরিত চিঠিটি আজ সোমবার (২৩ মার্চ) পৌঁছে দেয়া হয়।

চিঠিতে জানানো হয়, জনসাধারণ অর্ধেক মূল্যেও পোল্ট্রি মুরগি ক্রয় করছে না। আর এই সুযোগে সারা দেশে পাইকাররা খামারিদের ভেতর ভীতির সৃষ্টি করে দিচ্ছে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে অচিরেই দেশের ৫০% পোল্ট্রি খামার বন্ধ হয়ে যাবে। যার ফলে আমিষের ঘাটতি দেখা দিবে। এদেশের মানুষ পুষ্টিকর খাবার হতে বঞ্চিত হবে বিশেষত প্রান্তিক জনগোষ্টি। বেকার হয়ে পড়বে এই শিল্পের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত প্রায় এক কোটি মানুষ।

এমতাবস্থায় গুজব প্রতিহত করা গেলে খামারী টিকে থাকবে, পোল্ট্রি শিল্প টিকে থাকবে। আর পোল্ট্রি শিল্প টিকে থাকলে প্রান্তিক জনগোষ্টি স্বল্প মূল্যে আমিষের প্রয়োজন মিটাতে পারবে। তাই গুজব প্রতিরোধ করার জন্য জনস্বার্থে বিজ্ঞপ্তি  প্রকাশ, গ্রাম অঞ্চলে সরকারি উদ্যোগে মাইকিং করা সহ বাস্তব ভিত্তিক ও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা একান্ত  আবশ্যক।

This post has already been read 10861 times!

Check Also

ডিম, মুরগি ও ফিড উৎপাদনে ধ্বসরে আশংকা

বিশেষ সংবাদদাতা : পোল্ট্রি শিল্পের প্রাণকেন্দ্র বলা হয়ে থাকে একদিন বয়সী মুরগির বাচ্চা উৎপাদনকারি ব্রিডার্স …