নিজস্ব প্রতিবেদক: ”বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া ”কোভিড-১৯” ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। ডিম, দুধ ও মাংস মানবদেহে এন্টিবডি তৈরি করে এবং সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে।” পোলট্রি, ডিম, একদিন বয়সী মুরগির বাচ্চা, হাঁস-মুরগির খাদ্য, মাংস ও দুগ্ধজাতপণ্যসহ অন্যান্য প্রাণি ও প্রাণিজাতপণ্য এবং কৃত্রিম প্রজনন সংক্রান্ত যাবতীয় সরঞ্জামাদি পরিবহন কার্যক্রম সচল রাখার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশে পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) -এর এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মৎস্য ও প্রাণিস্পদ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো চিঠিতে উপরোক্ত উক্তি করা হয়।
বুধবার (২৫ মার্চ) মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. অমিতাভ চক্রবর্তী স্বাক্ষরিত চিঠিতে বিপিআইসিসি ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সূত্রকে উল্লেখ করে বলা হয়- ডিম, মাংস ও দুধ এগুলো দ্রুত পচনশীল দ্রব্যের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে এসব খাদ্যদ্রব্য মানুষের নিকট পৌঁছে দেয়া জরুরি। এছাড়াও একদিন বয়সী মুরগির বাচ্চা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ডিলারদের কাছে পৌঁছাতে না পারলে প্রতিদিন প্রায় ৩০ লাখ মুরগির বাচ্চা মারা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই কিছুদিনের মধ্যেই ডিম ও মাংসের স্বাভাবিক যোগানে ঘাটতি পড়বে।
এমতাবস্থায় মৎস্য ও প্রাণিস্পদ মন্ত্রণালয় উক্ত আবেদনের সাথে একমত পোষণ করে পোলট্রি, ডিম, একদিন বয়সী মুরগির বাচ্চা, হাঁস-মুরগির খাদ্য, মাংস ও দুগ্ধজাতপণ্যসহ অন্যান্য প্রাণি ও প্রাণিজাতপণ্য এবং কৃত্রিম প্রজনন সংক্রান্ত যাবতীয় সরঞ্জামাদিসহ মাছ, মাছের পোনা ও মাছের খাদ্য সরকার ঘোষিত ছুটিকালীন সময়ে নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদন, পরিবহনসহ বিপনন সচল রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দায়িত্বশীলদের নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়।