কৃষিবিদ এজাজ মনসুর : করোনার কারণেই হয়তো অনেক মানুষ ’কোয়ারেন্টাইন’ নামক শব্দটির সাথে পরিচিত হচ্ছেন বিশেষত গ্রামের মানুষগুলো। তবে এই শব্দটির সাথে সবচেয়ে বেশি পরিচিত ও মেনে চলা লোকগুলো হলো যারা পোল্ট্রি শিল্পের সাথে সরাসরি যুক্ত আছেন।
আপনারা ১৪ দিন কিভাবে বন্দী থাকবেন তা নিয়ে যখন চিন্তিত তখন পোল্ট্রি ফার্মে কর্মরত মানুষগুলো প্রাচীরে ঘেরা সীমানার মধ্যে এভাবেই কাটিয়ে দিচ্ছে বছরের পর বছর।
শুধুই কি বন্দী থাকাটাই? জ্বী, না এখানে কর্মরত মানুষগুলোর অনেকেই ঈদেও তাদের পরিবারের সাথে আনন্দ ভাগাভাগিটা হয় না। আবার কখনো কখনো দুর্দিনেও সামনে থেকে পরিবারকে সাপোর্ট দেয়ার সুযোগও হয় না। কাজটা যেহেতু লাইভ জিনিস নিয়ে তাই সতর্কতা ও ঝুঁকিটাও বেশি।
নীরবে, নিভৃতে দেশের মানুষকে সাশ্রয়ীভাবে প্রাণিজ আমিষ যোগান দেয়ার কাজটি নিরলসভাবে করে যাচ্ছেন এই সেক্টরে সম্পৃক্ত মানুষগুলো। এদের ভূমিকা পর্দার পেছনেই থেকে যায়।
এতো কিছুর পরেও সবচেয়ে খারাপ বিষয়টা হলো – এই শিল্পটিকে নিয়ে আমাদের দেশের কিছু গবেষক বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিয়ে মানুষকে ভুল পতে পরিচালিত করেন। সময় থাকতে এসবে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া ও সাধারণ মানুষকে সচেতন করে তোলা জরুরি।
“COVID-19” এই মহামারির দুঃসময়ে DOC এর বাজারে ধস ও গুজব অপপ্রচার ঠেকাতে না পারলে এবং সরকারের নীতিনির্ধারকেরা কার্যকরী সঠিক সিদ্ধান্ত না নিতে পারলে যতোটা এগিয়ে ছিলো এই সেক্টর সেখান থেকে অনেকটাই পিছিয়ে যাবে।
কর্মসংস্থানের দিক দিয়ে দেশের গার্মেন্টস শিল্পের পরের অবস্থানে থাকা পোলট্রি শিল্পের প্রতি সরকারের নীতিনির্ধারকেদের ভাববার সময় এসেছে। করোনা মহামারীতে কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে প্রতিদিন। তাই এই কঠিন দুঃসময়ে আপনাদের সূতীক্ষ্ন কার্যকর পদক্ষেপই পারে প্রায় মুখ থুবড়ে পড়ে থাকা শিল্পটিকে আরো এগিয়ে নিতে।
ডিজিটালাইজেশনের এই যুগে সাধারণ মানুষদের প্রতি অনুরোধ কোনো গুজব বা অপপ্রচারে কান দিবেন না। দয়া করে সঠিক তথ্যটি জানুন ও অন্যকে জানান।
ডিম ও মুরগীর সাথে করোনার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। ডিম ও মুরগী খান সুস্থ থাকুন।