Saturday , April 26 2025

দেশে লবণের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে লবণের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। বর্তমানে দেশে প্রতি মাসে ভোজ্য লবণের মোট চাহিদা ৭৫ হাজার মেট্রিক টন। এবছরের ৩রা এপ্রিল পর্যন্ত লবণ মাঠ ও লবণ মিলে মোট ১০.২৬ লক্ষ মেট্রিক টন লবণ মজুদ রয়েছে। এছাড়া সকল জেলার ডিলার, পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতা পর্যায়েও আয়োডিনযুক্ত ভোজ্য লবণ মজুত রয়েছে।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)-এর লবণ উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, আয়োডিনযুক্তকরণ, মজুদ ও মূল্য সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি ২০১৯-২০২০ লবণ মৌসুমে লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮.৫০ লক্ষ মেট্রিক টন। এর মধ্যে এবছরের ৩রা এপ্রিল পর্যন্ত মোট ১০.৩৪ লক্ষ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদিত হয়েছে। গত ২০১৮-‘১৯ লবণ মৌসুমে এ সময় লবণ উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৯.৭৫ লক্ষ মেট্রিক টন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে মোট নিবন্ধিত লবণ মিলের সংখ্যা ২৭০। এরমধ্যে করোনা প্রভাবের পূর্বে ১৮০টি মিল চালু ছিল। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে ১৭০টি মিল চাহিদা অনুযায়ী নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় করোনা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতঃ স্বল্প পরিসরে চালু রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বছরের মার্চ মাসে ৭৩ হাজার ২৮৮ মেট্রিকটন আয়োডিনযুক্ত ভোজ্য লবণ ও ৫৫ হাজার ২৬ মেট্রিক টন আয়োডিনবিহীন শিল্প লবণ উৎপাদিত হয়েছে। করোনার প্রভাবে বর্তমানে শিল্প লবণের চাহিদা তুলনামূলকভাবে কম পরিলক্ষিত হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধ এবং এর প্রাদুর্ভাবজনিত পরিস্থিতিতে মাঠে লবণ উৎপাদন, মিলে প্রক্রিয়াজাত ও আয়োডিনযুক্তকরণ ও বাজারজাতকরণে বিসিক বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে । করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ ও বিদ্যমান পরিস্থিতিতে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতঃ লবণ মিলসমূহ চালু রাখার জন্য বিসিকের পক্ষ হতে যোগাযোগ করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে সরকার কর্তৃক ঘোষিত সাধারণ ছুটিকালীন নিরবিচ্ছিন্নভাবে আয়োডিনযুক্ত লবণ উৎপাদন ও বাজারজাত অব্যাহত রাখতে চাহিদা অনুযায়ী লবণ মিলগুলোতে পটাশিয়াম আয়োডেট সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়া, বিসিকের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিয়মিত যোগাযোগের মাধ্যমে মাঠে লবণ উৎপাদন, মিলে লবণ প্রক্রিয়াজাতকরণ ও আয়োডিনযুক্তকরণ এবং বাজারজাতকরণসহ সার্বিক বিষয়ে সহযোগিতা প্রদানসহ নিয়মিত তথ্য সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি, লবণ চাষীদের নিয়মিত আবহাওয়া সংবাদ প্রদান, লবণ উৎপাদন ও মজুদ বিষয়ে কারিগরি সহায়তা প্রদান, ক্রুড লবণ বাজারজাতকরণের জন্য লবণ চাষী ও মিলারদেব সাথে যোগাযোগের মাধ্যম সমন্বয় সাধন করতে বলা হয়েছে।

এছাড়া লবণ মিলে শিল্প ও আয়োডিনযুক্ত লবণ উৎপাদন, বিক্রি, মজুদ ও মূল্য সম্পর্কিত নিয়মিত প্রতিবেদন তৈরি করে তা বিসিকের প্রধান কার্যালয়ে প্রেরণ করতে বলা হয়েছে।

This post has already been read 3578 times!

Check Also

প্রতিমাসেই চীনা বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন ড. ইউনূস

নিজস্ব প্রতিবেদক: চীনা বিনিয়োগকারীদের সকল ধরনের সমস্যা জানতে ও তার দ্রুত সমাধানে প্রতি মাসের ১০ …