নিজস্ব প্রতিবেদক: নভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এর প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত কেজিপ্রতি ১০ টাকা মূল্যে ওএমএস এর চাল বিক্রয় কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে ওএমএসের চাল কালোবাজারি ও চুরির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি প্রয়োগ করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, এমপি। সব জেলা প্রশাসক ( ডিসি) ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের (আরসি ফুড) কাছে পাঠানো চিঠিতে খাদ্যমন্ত্রী এ নির্দেশনা প্রদান করেন।
চিঠিতে খাদ্যমন্ত্রী আরো উল্লেখ করেন, ইদানিং কিছু পত্রপত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে জানা যাচ্ছে যে কতিপয় ব্যক্তি ওএমএসের চাল কালোবাজারে বিক্রি করছে। যা এই কর্মসূচিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। ইতোমধ্যে দেশের কয়েকটি জায়গায় ওএমএসের চালসহ কয়েকজন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরাও পড়েছে। তিনি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি/ওএমএস কার্যক্রমে যে কোন প্রকার অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে কঠোর শাস্তি প্রয়োগ করার নির্দেশ দেন।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, বর্তমানে বিশ্বের দুই শতাধিক দেশে নভেল করোনা ভাইরাস (Covid-19)- এর সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশেও এর সংক্রমণ দেখা দিয়েছে এবং এর প্রতিরোধে সরকার বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। গত ২৫ মার্চে জাতির উদ্দেশ্যে প্রদত্ত ভাষণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য ওএমএস খাতে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি কেজি চালের মূল্য ৩০ টাকার স্থলে ১০ টাকা নির্ধারণ করার ঘোষণা দেন। তৎপ্রেক্ষিতে খাদ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিচালিত ওএমএস খাতে চালের মূল্য কেজি প্রতি ১০ টাকায় নির্ধারণ করা হয়। অতঃপর খাদ্য মন্ত্রণালয় সরকার কর্তৃক জারিকৃত সাধারণ ছুটির কারণে গৃহে অবস্থানকারী সাধারণ শ্রমজীবী, দিনমজুর, রিক্সাচালক, ভ্যানচালক, পরিবহণ শ্রমিক, ফেরিওয়ালা, চায়ের দোকানদার, ভিক্ষুক, ভবঘুরে ও অন্যান্য সকল কর্মহীন মানুষের জন্য ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির কার্যক্রম গ্রহণ করে।
এ কর্মসূচির আওতায় ঢাকা মহানগরসহ দেশব্যাপী বিভাগীয় ও জেলাশহর এবং জেলাশহর বহির্ভূত পৌরসভাসমূহে সপ্তাহে প্রতি রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা হতে দুপুর ৩ টা পর্যন্ত বিক্রয় কার্যক্রম চালু করার কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। বিভাগীয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও পৌরসভার নির্বাচিত প্রতিনিধির উপস্থিতি/ তদারকিতে বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। একজন ভোক্তা সপ্তাহে একবার মাত্র ৫ (পাঁচ) কেজি চাল ক্রয় করতে পারবে। ওএমএস কেন্দ্রসমূহ নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠী, শ্রমজীবীদের বসবাস কেন্দ্রের নিকটস্থ বস্তি এলাকায় অথবা পর্যাপ্ত খালি জায়গা আছে এমন স্থানসমূহকে অস্থায়ী বিক্রয় কেন্দ্র হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে।