বৃহস্পতিবার , ডিসেম্বর ২৬ ২০২৪

করোনা পরীক্ষা ল্যাব স্থাপনসহ ৪ দফা বাকৃবি ছাত্র ফ্রন্টের

মো. আরিফুল ইসলাম (বাকৃবি) : বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার ল্যাব স্থাপন, সেমিস্টারের ফি মওকুফসহ ৪ দফা দাবিতে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট। রবিবার (১৯ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান বরাবর এ স্মারকলিপি জমা দেয় সংগঠনটির বাকৃবি শাখার নেতাকর্মীরা।

স্মারকলিপিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও ল্যাব অপারেটরদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনা টেস্ট ল্যাব চালু, সব শিক্ষার্থীর ২ সেমিস্টারের ফি মওকুফ করা, অস্বচ্ছল ও টিউশনের ওপর নির্ভরশীল শিক্ষার্থীদেরকে বিশেষ আর্থিক অনুদান ও মাস্টার রোলে কর্মরত কর্মচারীদের বিশেষ আর্থিক অনুদানসহ ৪ দফা দাবি জানিয়েছে ছাত্র ফ্রন্টের নেতা-কর্মীরা।

ছাত্র ফ্রন্টের বাকৃবি শাখার সভাপতি গৌতম কর ও সাধারণ সম্পাদক প্রেমানন্দ দাস স্বাক্ষরিত ওই স্মারকলিপিতে বলা হয়, মহামারি করোনা ভাইরাসের আক্রমণে বিপর্যস্ত সমগ্র পৃথিবী। গত ৮ মার্চ আমাদের দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। সারাবিশ্বে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পরার হার বিবেচনা করে ১৮ কোটি মানুষের এ দেশে পর্যাপ্ত সংখ্যক ল্যাব স্থাপন করা প্রয়োজন। সারাদেশে ব্যাপক মাত্রায় করোনা ছড়িয়ে পরলে মাত্র ১৭টি ল্যাব চালু করা হয়েছে, যা প্রয়োজনের তুলনায় নিতান্তই কম। সর্বশেষ কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েও করোনা পরীক্ষা ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে।

স্মারকলিপিতে নেতারা বলেন, বর্তমানে দেশে একটি জাতীয় সংকট বিরাজ করছে। এ অবস্থায় সকল স্তরের মানুষ/প্রতিষ্ঠান তাদের সামর্থ্য দক্ষতা নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলায় এগিয়ে এসেছে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ এবং দক্ষ একদল শিক্ষক যেমন রয়েছেন। পাশাপাশি করোনা পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় মেশিন বিশিষ্ট ল্যাবও রয়েছে। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে যে ল্যাবে করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে সেটি স্থাপন ও তত্বাবধানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকদের ভূমিকা রয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনা পরীক্ষার ল্যাব স্থাপনের জন্য বেশ কয়েকদিন যাবৎ শিক্ষার্থীরাও দাবি জানিয়ে আসছেন। ফলে দেশের সামগ্রিক প্রয়োজনীয়তার স্বার্থে অবিলম্বে আনুষাঙ্গিক প্রস্তুতি নিয়ে অভিজ্ঞ শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সমন্বয়ে একটি ল্যাব স্থাপনের দাবি জানান নেতারা।

এদিকে, দীর্ঘদিন লকডাউনের ফলে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী ভয়াবহ আর্থিক সংকটের মধ্যে দিন অতিবাহিত করছে। অনেক অস্বচ্ছল পরিবারের বেঁচে থাকাটা কঠিন হয়ে পড়েছে। এই আর্থিক সংকটের দিকটি বিবেচনা করে আগামী ২ সেমিস্টারের ফি মওকুফের দাবি জানায় সংগঠনটি। পাশাপাশি অস্বচ্ছল শিক্ষার্থী ও যারা টিউশন নির্ভর করে পড়াশোনার খরচ চালায় তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক পর্যাপ্ত আর্থিক অনুদান দেয়ার দাবিও জানায় তারা।

এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার রোলে কর্মরত কর্মচারীদের আর্থিক দুরাবস্থার কথা উল্লেখ করে তাদের জন্যও পর্যাপ্ত আর্থিক অনুদান বরাদ্দের অনুরোধও জানিয়েছে ছাত্র ফ্রন্ট।

This post has already been read 3957 times!

Check Also

শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তি জ্ঞানে সমৃদ্ধ হতে হবে – সিকৃবি ভিসি

সিকৃবি সংবাদদাতা: সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) ভিসি প্রফেসর ড. মো. আলিমুল ইসলাম বলেছেন বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের …