ঢাকা: ক্ষতিগ্রস্ত পোল্ট্রি ও ডেইরি খামারিদের ভর্তুকি মূল্যে ফিড সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। ‘প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্ন্য়ন প্রকল্পে’র (এলডিডিপি) আওতায় এ সেবা তৃণমূল খামারিদের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে। বুধবার (২২ এপ্রিল) প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ কথা জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রাণিসম্পদ-২) কাজী ওয়াছি উদ্দিন।
কাজী ওয়াছি উদ্দিন বলেন, করোনা সংকটে সারাদেশের মানুষের জন্য প্রাণিজ আমিষ জাতীয় খাদ্যের সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। জীবাণু থেকে মুক্ত থাকতে সরকার ঘোষিত নির্দেশনা মেনে চলার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সুষমখাদ্য; বিশেষ করে আমিষ জাতীয় খাদ্য- দুধ, ডিম, মাছ, মাংস ইত্যাদি খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
তিনি আরো বলেন, চলমান পরিস্থিতিতে গরু ছাগল হাঁস মুরগির খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থাতেও বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে। মূলধনের সংকটের কারণে ফিড কিনতে খামারিদের বেগ পেতে হচ্ছে। তাই স্বল্পমূল্যে খামারিরা যেন গরু ছাগল হাঁস মুরগির খাদ্য ক্রয় করতে পারেন সেজন্য ভর্তুকি মূল্যে ফিড সরবরাহের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাষ্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের (বিপিআইসিসি) সভাপতি মসিউর রহমান বলেন- কোভিড-১৯ এর প্রভাবে সারাদেশের অসংখ্য খামার বন্ধ হয়ে গেছে। পণ্যের দাম না পাওয়ায় খামারিরা একদিন বয়সী বাচ্চা কেনা প্রায় বন্ধ করে দিয়েছেন। এ সকল খামারগুলো যে কোনো মূল্যে চালু করতে হবে। সেজন্য সরকার ঘোষিত ৪ শতাংশ সুদের ঋণ সুবিধা, নগদ প্রণোদনা এবং অন্যান্য সহায়তা তৃণমূল খামারিদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।
তিনি বলেন, এলডিডিপি প্রকল্পের আওতায় ভর্তুকি মূল্যে ফিড দেয়ার সিদ্ধান্ত অত্যন্ত প্রশংসনীয় একটি উদ্যোগ। এজন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী, সচিব, অতিরিক্ত সচিব, এলডিডিপি’র প্রকল্প পরিচালক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান বিপিআইসিসি সভাপতি।
তিনি বলেন, এ ধরনের সহায়তা করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে এবং নতুন করে খামার গড়তে খামারিদের শক্তি ও সাহস যোগাবে।