মোছা. সুমনা আক্তারী (নাটোর) : শনিবার (২৫ এপ্রিল) নাটোরের সিংড়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে উপজেলার তাজপুর ইউনিয়নের রাখালগাছা ব্লকের শহরবাড়ী মাঠে কম্বাইন্ড হারভেস্টরের সাহায্যে জিরাশাইল জাতের বোরো ধান কর্তন অনুষ্ঠিত হয়।
বোরো ধান কর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাটোর জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ পিএএ। বিশেষ অতিথি ছিলেন নাটোর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার কৃষিবিদ মো. বেলাল উদ্দিন এবং সিংড়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. সাজ্জাদ হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নাটোর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ সুব্রত কুমার সরকার।
কৃষক মো. শাহাদত হোসেনের ৮ বিঘা জমিতে জিরাশাইল জাতের বোরো ধান কর্তন করা হয়। কর্তন শেষে মাড়াই-ঝাড়াই করে ধানের বিঘায় প্রতি ২৪ মন ফলন পাওয়া যায়।
ধান কর্তন শেষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলা হচ্ছে বোরো ধান উৎপাদনের প্রধান এলাকা। নাটোর জেলার অন্যান্য উপজেলার তুলনায় সিংড়াতে সবচেয়ে বেশি পরিমানে বোরো ধান উৎপাদন হয়ে থাকে। এ বছর সিংড়া উপজেলার চলন বিলের অংশে বোরো ধানের আবাদ ভালো হওয়ায় দেশের খাদ্য চাহিদা পূরণে অগ্রনী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বিগত কয়েক বছর যাবৎ সিংড়ার চলন বিলে ধানের ভালো হওয়ায় এই উপজেলা খাদ্য উদ্বৃত্ত এলাকা হিসাবে পরিগণিত হয়ে আসছে। তিনি উপস্থিত কৃষকভাইদের বলেন হারভেস্টরের সাহায্যে ধান কর্তন করা হলে শ্রমিকসহ উৎপাদন খরচ সাশ্রয় হবে তাই কম্বাইন্ড হারভেস্টরের মাধ্যমে বোরো ধান কর্তনের অনুরোধ জানান।
ধান কর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতি উপ পরিচালক তাঁর সমাপনী বক্তব্যে বলেন, শস্য কর্তনের মাধ্যমে ফসলের ফলন সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়া যায়। তাই বোরো ধান কর্তনের মাধ্যমে ধান চাষের ভুলক্রটি সংশোধন করে নেয়া সম্ভব হয়। অত্র উপজেলায় এ বছর কোন প্রাকৃতিক বিপর্যয় না হলে বোরো ধানের ভালো ফলন পাওয়া সম্ভব হবে যা দেশের খাদ্য চাহিদা পূরনে অগ্রনী ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, কম্বাইন্ড হারভেস্টর মেশিনের সাহায্যে ধান কাটা হলে এক সঙ্গে সাড়ে তিন হেক্টর জমির ধান কাটা, মাড়াই ও ঝাড়াই করতে দেড়শত শ্রমিক এবং প্রায় ৫০ হাজার টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব। তাই তিনি কম্বাইন্ড হারভেস্টরের সাহায্যে ধান কর্তনের অনুরোধ জানান।
উক্ত শস্য কর্তন অনুষ্ঠানে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ এলাকার প্রায় ৫০ জন আদর্শ কৃষক উপস্থিত ছিলেন। নভেল করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব হতে রক্ষায় সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা হয়।