মো. আমিনুল ইসলাম (রাজশাহী) : রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ‘২০১৯-২০ অর্থবছরে খরিপ-১/২০২০-২১ মৌসুমে প্রণোদনা কর্মসূচী’র আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে প্রথম পর্যায়ে বিনামূল্যে প্রনোদণার রাসায়নিক সার ও বীজ বিতরণ করা হয় ১২ এপ্রিল।
সার ও বীজ উপজেলা সদর থেকে দেওয়ার কথা থাকলেও কৃষকের সুবিধার কথা চিন্তা করে এবং করোনা প্রতিরোধে সামাজিক দরত্ব বজায় রাখার জন্য উপজেলা কৃষি অফিসার নিজ উদ্যোগে ফেরি করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বীজ ও সার পৌঁছে দেন। এছাড়াও করোনা পরবর্তী খাদ্য সংকট মোকাবেলার জন্য কৃষকদের বিনামূল্যে অতিরিক্ত সবজির বীজও পৌছে দেন এই কৃষি কর্মকর্তা। রবিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সারাদিন উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নের চৈতন্যপুর, হাতিবান্ধা, নিমঘুটু ঈশ্বরীপুর, ভাগাইল, গোলাই এবং কদমশহর সহ বিভিন্ন গ্রামে করোনা ভাইরাসের প্রকোপের মধ্যেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি বাড়ি সার ও বীজ পৌঁছে দেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শফিকুল ইসলাম।
উপজেলা কৃষি অফিস হতে জানা যায়, এ বছর প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে উফশী আউশ ও পেঁয়াজ বীজসহ জনপ্রতি ৫ কেজি বীজ, এমওপি সার ১০ কেজি এবং ডিএপি সার ২০ কেজি করে বিতরণ করা হয়। ২০১১-১২ অর্থবছর থেকে এ পর্যন্ত কৃষি প্রণোদনা ও পুনর্বাসনের আওতায় গোদাগাড়ী উপজেলায় মোট ৪৪ হাজার ৫শত ৪৯ জন কৃষককে ৫ কোটি ১১ লাখ ১৮ হাজার ৮৮ টাকা বিতরণ করা হয়।
উপজেলা কৃষি অফিসার শফিকুল ইসলাম বলেন, দেশের করোনা ভাইরাস জনিত রোগের বর্তমান পরিস্থিতিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ৩১ দফা নির্দেশনা প্রদান করেছেন। এর মধ্যে কোন কৃষি জমি পতিত না থাকে এজন্য জোর তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী এর আলোকে সেচ, সার, বালাইনাশক সরবরাহ অব্যাহত রাখা, শ্রমিক সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য কৃষির যান্ত্রীকিকরণ, পুকুরপাড় ও রাস্তার পাশে সবজি চাষ, বসতবাড়ির আঙ্গিনায় ও আশেপাশে সম্ভাবনা স্থানে পেয়ারা, লেবু, পেঁপে ও অন্যান্য ফল চাষ করতে আমরা কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছি।
সরকারের দেওয়া কৃষি প্রণোদনা উপজেলা সদরে কৃষকদের হাতে তুলে দেওয়ার কথা থাকলেও মানুষ যাতে একসাথে বেশি না জমায়েত হয় সেজন্য গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘুরে দেওয়া হয়। যদিও একটু কষ্ট হচ্ছে, তারপরও ঝুঁকি নিয়েই আমরা সকল কর্মকর্তা কর্মচারীরা কাজ করছি। কৃষকের পাশে থাকতে নিরন্তর আমাদের ছুটে চলা। তিনি আরও বলেন, করোনা পরবর্তী সময়ে খাদ্য সংকট নিরোসনের জন্য কিছু সবজি বীজ ও কৃষি উপকরণ দেওয়া হয়। যাতে তারা বসত বাড়িতে সবজি চাষ করে সংকটের সময়ে সবজি ও পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে পারে।