চট্টগ্রাম সংবাদদাতা: চট্টগ্রামে খাতুনগঞ্জে আদার আমদানিকারকরা ৮০-৯০টাকায় আমদানি করলেও খুচরা বাজারে ২৩০-২৪০ টাকায় অস্বাভাবিক দাম বাড়িয়ে বিক্রির সংবাদে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসন ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের তাৎক্ষনিক অভিযান পরিচালনা করে বিক্রেতাদের হাতে নাতে ধরার ঘটনাকে ইতিবাচক বললেও অভিযুক্ত অসাধু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে লগু দন্ডের কারণে বারবার এ সমস্ত মূল্য সন্ত্রাসীরা করোনা মহামারীর এই মহাদুর্যোগকালীন সময়কে কোনভাবেই আমলে না নিয়ে তাদের সেই পুরোনা খেলায় মত্ত। ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে অভিযোগ প্রমানিত হলে এখন আর ৫-১০ হাজার টাকা জরিমার মতো লগু দন্ড বাতিল করে তাদের বিরুদ্ধে দোকান বন্ধ, জেল-হাজত, লাইসেন্স বাতিলের মতো কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন দেশের ক্রেতা-ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণকারী জাতীয় প্রতিষ্ঠান কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগ ও মহানগর কমিটি।
খাতুনগঞ্জে আদার ব্যাপারীদের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানের পরও খুচরা বাজারে আদার দাম না কমায় সোমবার (২৭ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, মহানগর সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ন সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম ও দক্ষিন জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান প্রমুখ উপরোক্ত দাবি জানান।
বিবৃতিতে ক্যাব নেতৃবৃন্দ বলেন আদা, রসুন, পেয়াজ, সবজির মতো পচনশীল পণ্যের ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরেই কমিশন এজেন্ট ও আড়তদার নামে অবৈধ ব্যবসা করে আসছে। যেখানে পণ্য ক্রয়-বিক্রির রশিদ ছাড়াই কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করছেন। আর ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে ধরা পড়লে ক্রয় রশিদ দেখাতে ব্যার্থ হন। এই অবৈধ ব্যবসার কারণে সংকটকালীন সময়ে পণ্যমূল্য বাজার বারবার অস্থির করে তুলেন এই চক্র। জেলা প্রশাসন ও ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে বারবার এরা চিহ্নিত হলেও চেম্বার ও খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী নেতাদের চাপে তাদের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির নজির নাই। যার খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ ভোক্তাদের।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, বাজারে পচনশীল এ সমস্ত পণ্যের বাজার মূল্য বলে পণ্য বিক্রির কথা বলে সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করে আমদানির প্রকৃত তথ্য গোপন করে ক্রেতাদের বিপুল অর্থ অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে যাচ্ছে। বানিজ্য মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসন থেকে দোকানে মূল্য তালিকা প্রদর্শন ও ক্রয় রশিদ সংরক্ষনে নির্দেশনা দেয় হলেও তারা এ এই নির্দেশ মানছে না। আর প্রকৃত ক্রয় রশিদ, আমদানির বৈধ কাগজপত্র(এলসি) ছাড়া ব্যবসা করার অর্থ হলো অর্থ পাচার ও অবৈধ ব্যবসা। তাই এ ধরনের অবৈধ ব্যবসা বন্ধে কঠোর ভাবে নিয়ন্ত্রণের দাবি জানান।