মো.জুলফিকার আলী (পাবনা): মেহেরপুর সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যেগে প্রতি ইঞ্চি জায়গা ও পতিত জমির ব্যবহার এবং খাদ্য পুষ্টি নিরাপত্তা ও নিরাপদ সবজি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বুধবার (২৯ এপ্রিল) উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের ১৬ টি গ্রামের করোনা ভাইরাস সংকটকালীন সময়ে ক্ষতিগস্থ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে গ্রীস্মকালীন বিভিন্ন সবজির বীজ বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে সদর উপজেলা কৃষি অফিসার নাসরিন পারভিন এর সভাপতিত্বে মেহেরপুর জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. কামরুল হক মিঞা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে বিভিন্ন সবজির বীজ তুলে দেন। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার কৃষিবিদ স্বপন কুমার খাঁ এবং পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আরমান আলী প্রমুখ।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. কামরুল হক মিঞা কৃষকদের উদ্দেশ্য বলেন, করোনা ভাইরাসজনিত মহামারিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কৃষকদের খাদ্য ও পুষ্টি নিরসনে কাজ করতে হবে। কৃষকের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করছে বর্তমান সরকার। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক প্রতি ইঞ্চি জায়গা ও পতিত জমি যাতে খালি না থাকে সে লক্ষ্যে কৃষকদের পারিবারিক প্রয়োজনীয় সবজি উৎপাদন ও পুষ্টির চাহিদা পূরণে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
বীজ গ্রহণকারী উপস্থিত কৃষকদের প্রযুক্তিগত পদ্ধতিতে বিভিন্ন সবজির বীজ বপন করতে পারলে প্রতিটি বসতবাড়ি হবে এক একটি সবজির ভান্ডার। একদিকে মিলবে পুষ্টির যোগান। আবার অন্যদিকে নিজের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বাজারে বাড়তি সবজি বিক্রি করে কৃষক হবে লাভবান। ইতোমধ্যে এ জেলার খাদ্য ও উৎপাদিত বিভিন্ন কৃষি পণ্য ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করা হচ্ছে, বলে তিনি তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
এ সময় সদর উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের ১৬টি গ্রামের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক ২০০ জন কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে জনপ্রতি ২০০ গ্রাম লাল শাক বীজ, ১০০ গ্রাম পুঁই শাক বীজ, ২০০ গ্রাম ঢেঁড়স বীজ, ২০০ গ্রাম মুলার বীজ এবং ২০০ গ্রাম কলমি শাকের বীজ প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সহ প্রায় ৩ শতাধিক কৃষক কৃষাণি উপস্থিত ছিলেন।