রবিবার , জানুয়ারি ১৯ ২০২৫

কৃষি প্রণোদনায় অনিয়ম-দুর্নীতি হলে কঠোর ব্যবস্থা –কৃষিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: কৃষি প্রণোদনা নিয়ে কোন অনিয়ম-দুর্নীতি হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে মন্তব্য করে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, এমপি বলেছেন, করোনা পরিস্থিতিতে বর্তমানের কৃষি উৎপাদন ধারা অব্যাহত রাখতে এবং উৎপাদন বাড়াতে ভবিষ্যতের ফসলের ওপর অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। আউশের জন্য বীজ ও সার প্রভৃতি প্রণোদনা বিনামূল্যে সারাদেশে কৃষকের কাছে সরবরাহ করা হয়েছে। পাটবীজ ও তিলের বীজ দেয়া হয়েছে। গ্রীষ্মকালীন শাকসবজির জন্যও প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। কৃষিমন্ত্রী আজ শনিবার (০২ মে) টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন আয়োজিত ‘করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয় ও বর্তমান পরিস্থিতি’ শীর্ষক বিশেষ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ৫০০০ কোটি টাকার ৪% সুদে ঋণ প্রণোদনা ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এর সাথে কৃষিখাতে ৯০০০ কোটি টাকার ভর্তুকি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। পাশাপাশি, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সার্বিক কৃষিখাতের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ১৪,৫০০ কোটি টাকার কৃষিঋণ ৯% সুদের স্থলে মাত্র ৪% সুদে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এসব প্রণোদনা বিতরণে কোন অনিয়ম-দুর্নীতি হলে সে যেই হোক না কেন তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, করোনার কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে। খাদ্য সংকট বা দুর্ভিক্ষের আশঙ্কাও করছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা। এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সে বার বার কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর নির্দেশ দিচ্ছেন। কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে প্রতি ইঞ্চি জমিতে ফসল ফলানোর আহ্বান জানাচ্ছেন। কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনানুযায়ী কৃষি মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে কাজ করে যাচ্ছে। যাতে করে বাংলাদেশে খাদ্য সংকট না হয়,বরং বিশ্বের খাদ্য সংকটেও যাতে করে বাংলাদেশ সহযোগিতা করতে পারে, ভূমিকা রাখতে পারে।

বিশ্ব খাদ্য সংস্থা (ডব্লিউএফপি) করোনার কারণে বিশ্বের তিন কোটি মানুষের অনাহারে মৃত্যু হতে পারে বলে যে আশঙ্কা করছে, তার প্রভাব বাংলাদেশে পড়তে পারে কিনা সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে। জমিতে যে ফসল আছে তা যদি সঠিকভাবে ঘরে তোলা যায়, তবে আশা করা যায়, বাংলাদেশে আগামী ৭-৮মাসের মধ্যে খাদ্যের কোন ঘাটতি হবে না। বরং কিছু খাদ্য উদ্বৃত্ত থাকতে পারে।

টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খান, তানভীর হাসান ছোট মনির, মো. ছানোয়ার হোসেন, টাঙ্গাইল জেলার সমন্বয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব মো: আলমগীর, টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফজলুর রহমান খান ফারুক, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র জামিলুর রহমান মিরন, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ওয়াহীদুজ্জামান, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, বিপিএম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুর রাজ্জাকসহ জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে টাঙ্গাইলে করোনা প্রতিরোধ ও সীমিত পর্যায়ে রাখা, এবং সরকারি গাইডলাইন মেনে দরিদ্র ও অসহায় মানুষের মাঝে সঠিক ও সুষ্ঠুভাবে ত্রাণ বিতরণ  নিয়ে আলোচনা করা হয়।

This post has already been read 3026 times!

Check Also

দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য মজুদ নিশ্চিত করতে হবে

সিরাজগঞ্জ সংবাদদাতা:  চলতি আমন সংগ্রহ ২০২৪-২৫ এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জন বিষয়ক মতবিনিময় সভায় খাদ্য উপদেষ্টা আলী …