শনিবার , নভেম্বর ১৬ ২০২৪

মন্ত্রণালয়ের সকলকে ফ্রন্টলাইন যোদ্ধাদের মতো কাজ করতে হবে – কৃষিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনার কারণে প্রকল্প বাস্তবায়ন অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হলেও অবশিষ্ট সময়ের মাঝে কৃষি সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। ডাক্তার-নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মী এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী যেমন ফ্রন্টলাইনে থেকে কাজ করে যাচ্ছে তেমনি কৃষিতে প্রয়োজনে ঝুঁকি নিয়ে হলেও কাজ করে যেতে হবে। যাতে করে দেশে খাদ্যের কোন ঘাটতি না হয়, দুর্ভিক্ষ না হয়।

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, এমপি আজ বৃহস্পতিবার (০৭ মে) মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনায় অনলাইন সভায় এসব কথা বলেন। এ সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: নাসিরুজ্জামান, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সংস্থাপ্রধানসহ প্রকল্প পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তিনি কোভিড-১৯ এর কারণে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্দেশিত স্থাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করে সকল সংস্থা ও প্রকল্প পরিচালকগণকে প্রকল্পের বাস্তবায়ন কার্যক্রম চালিয়ে নেয়ার আহ্বান জানান।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, করোনাসহ যেকোন প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের সবচেয়ে বড় মৌলিক চাহিদা হলো খাদ্য। আমরা কোনক্রমেই কোন মানুষকে অভুক্ত রাখতে পারি না। এদেশের সকল মানুষের পর্যাপ্ত খাদ্য বিশেষ করে ধান, গম, ভুট্টা, সবজি, ফল প্রভৃতির প্রয়োজনীয় সরবরাহ আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। সেজন্য খাদ্য উৎপাদনে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে।

‘এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে’- মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনাকে শিরোধার্য করে কোভিড-১৯ এর কারণে সম্ভাব্য খাদ্য সংকট মোকাবিলায় সকলকে নিরলস কাজ করার আহ্বান জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, করোনার দুর্যোগ মোকাবিলা করার জন্য দেশের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির বর্তমান ধারা শুধু অব্যাহত রাখা নয়, তা আরও বেগবান করতে হবে। এ লক্ষ্যে তিনি কৃষি মন্ত্রণালয়ের সকলকে নিজ নিজ কর্মস্থলে উপস্থিত থেকে নিরলসভাবে কাজ করার নির্দেশনা প্রদান করেন।

মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামান সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পসমূহের অগ্রগতি তুলে ধরে বলেন যে, বর্তমান অর্থ বছরে মার্চ, ২০২০ পর্যন্ত অর্জিত জাতীয় গড় অগ্রগতি অপেক্ষা এ মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প বাস্তবায়ন অগ্রগতি বেশী হয়েছে। তিনি এ ধারা অব্যাহত রাখার তাগাদা দেন।

সভায় জানানো হয়, ২০১৯-২০ অর্থবছরের সংশোধিত এডিপিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় মোট ৭৮টি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন আছে। সংশোধিত এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত ৭৮টি প্রকল্পের অনুকূলে মোট বরাদ্দ আছে ১৭৬৩.৯৪ কোটি টাকা, তন্মধ্যে জিওবি ১৪৩৪.৩৯ কোটি টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য ৩২৯.৫৫ কোটি টাকা। এ অর্থ বছরে এপ্রিল, ২০২০ পর্যন্ত সময়ে অর্থ অবমুক্ত হয়েছে ১১৭২.১৬ কোটি টাকা, যা মোট সংশোধিত বরাদ্দের ৬৬.০০ শতাংশ এবং অর্থ ব্যয় হয়েছে ৮৬১.৪২ কোটি টাকা, যা মোট সংশোধিত এডিপি রবাদ্দের ৪৯ শতাংশ, এর মধ্যে জিওবি খাতে ব্যয় হয়েছে ৪৮.০০ শতাংশ এবং প্রকল্প সাহায্য খাতে ব্যয় হয়েছে ৫৪.০০ শতাংশ। এ সময় পর্যন্ত জাতীয় গড় অগ্রগতি ৪৩.৭৩% শতাংশ।

This post has already been read 3346 times!

Check Also

অ্যামচেম এর সাথে বিডার সংলাপ

আমেরিকান চেম্বার অফ কমার্স ইন বাংলাদেশ আজ ( সোমবার ,২১ অক্টোবর) রাজধানীর অভিজাত এক হোটেলে …