নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রান্তিক পর্যায় থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক পুনঃঅর্থায়ন স্কীম গঠন ও পরিচালনা নীতিমালা ঘোষণা করলেও প্রান্তিক চাষি, খামারি ও উদ্যোক্তাগণ স্থানীয় ব্যাংক থেকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত ও সহযোগিতা পাচ্ছেন না। ঋণ বিতরণে দেখা দিচ্ছে সংশয়। এতে তারা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে।
গত রবিবার (১০ মে) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর বরাবর পাঠানো চিঠিতে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। এ পরিস্থতিতে প্রকৃত চাষি, খামারি ও উদ্যোক্তাদের সহজে ঋণ প্রাপ্তির সুবিধার্থে স্থানীয় কৃষি ঋণ কমিটিকে সম্পৃক্ত করার এ উদ্যোগ নিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। প্রকৃত চাষি, খামারি ও উদ্যোক্তারা ঋণ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং এর উদ্দেশ্যে সফল হবে না বলে মনে করছে মন্ত্রণালয়।
এজন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক চাষি, খামারি এবং উদ্যোক্তাদের আর্থিক ক্ষতি মোকাবেলায় ঋণ বিতরণে জেলা ও উপজেলায় বিদ্যমান কৃষিঋণ কমিটিকে সম্পৃক্ত করার অনুরোধ জানিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
চিঠিতে কৃষি খাতে চলতি মূলধন সরবরাহের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ৫ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন স্কীমের আওতায় ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে এ উদ্যোগ গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।
ঋণ বিতরণ কার্যক্রমে স্থানীয় প্রশাসন এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তাদের সংযুক্ত করা হলে প্রান্তিক খামারিরা উপকৃত হবে এবং এ কর্মসূচি সফল হবে বলেও চিঠিতে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।