শনিবার , নভেম্বর ১৬ ২০২৪

ধান সংগ্রহে নির্বাচিত কৃষকদের নাম ইউনিয়ন অফিসের তথ্যকেন্দ্রে টানিয়ে দেয়ার নির্দেশ খাদ্যমন্ত্রীর

ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, চলতি বোরো মৌসুমে যে সমস্ত কৃষক বোরো চাষ করেছেন এমন প্রকৃত কৃষকের মধ্য থেকে লটারির মাধ্যমে কৃষক নির্বাচন করতে হবে। লটারি করার পর চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত কৃষকের নামের তালিকা ইউনিয়ন অফিসের তথ্যকেন্দ্রে ঝুলিয়ে রাখতে হবে; যাতে সবাই দেখতে পাই। এ সমস্ত কাজ অত্যন্ত স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মধ্যে দিয়ে করতে হবে। বুধবার (১৩ মে) সকাল ১১ টায় মন্ত্রীর মিন্টো রোডস্থ সরকারি বাসভবন থেকে ঢাকা বিভাগের সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী।

ভিডিও কনফারেন্সে ঢাকা বিভাগের আওতাধীন প্রতিটি জেলার করোনা মোকাবেলা পরিস্থিতি, চলতি বোরো ধান কাটা-মাড়াই, সরকারীভাবে ধান চাল সংগ্রহসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন মন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, ধান-চাল সংগ্রহের ক্ষেত্রে প্রতিটি উপজেলায় সংগ্রহ কমিটি রয়েছে। সংগ্রহ কমিটিকে প্রতিটি ইউনিয়নে যেয়ে কৃষকের উপস্থিতিতে লটারি করার আহ্বান জানান তিনি। কৃষকের ধান দেওয়ার ক্ষেত্রে ময়েশ্চার বা আর্দ্রতা সমস্যার কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন,  কৃষকের ধান দেয়ার ক্ষেত্রে আর্দ্রতা নিয়ে একটু সমস্যা হয় কিন্তু প্রতিটি উপজেলার কৃষি অফিসে আর্দ্রতা মাপার যন্ত্র রয়েছে। কৃষকের নামের লটারি করার পর উপজেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা এসমস্ত চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত কৃষকের বাড়িতে যেয়ে তাদের ধানের আর্দ্রতা পরিমাপ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে; যা কৃষকের জন্য খুব উপকার হবে।

ঢাকা বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, কৃষকের স্বার্থের কথা চিন্তা করে; তাদের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করার জন্য ধান-চাল কেনার ক্ষেত্রে ধানকে অগ্রাধিকার দিতে হবে; এবং কৃষক যেন কোনোভাবেই হয়রানির শিকার না হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী চলতি বোরো মৌসুমে ৮ লাখ মেট্রিক টন ধান সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ক্রয় করা হবে। যা করোনা দুর্যোগ মোকাবেলায় সহায়ক হবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী আরো বলেন, খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ করোনা মোকাবেলা করে এই সংগ্রহ কার্যক্রম চালাচ্ছেন। খাদ্যশস্য সংগ্রহে যাতে কোন অনিয়ম না হয় সেজন্য কর্মকর্তাদের তীক্ষ দৃষ্টি রাখতে বলেন মন্ত্রী। এছাড়া সংগ্রহ কার্যক্রমে সকলকে সহযোগিতা ও করোনা মোকাবেলায় সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপদ দূরত্ব মেনে চলার আহবান জানান তিনি।

কোন কৃষক যেন খাদ্যগুদামে ধান দিতে এসে  ফেরত না যাই এবং কোনভাবেই যেন কৃষক হয়রানি না হয় সেজন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে সতর্ক করেন মন্ত্রী। পাশাপাশি গুদামের ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য খামালের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং কৃষকের লটারি করার পর আগে থেকেই ওয়েটিং লিস্ট তৈরি করাসহ নানাবিধ দিকনির্দেশনামূলক পরামর্শ দেন তিনি।

ভিডিও কনফারেন্সে উপস্থিত থেকে খাদ্য সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম বলেন, বস্তার গায়ে স্টেনসিল ব্যবহার করতে হবে এবং খাদ্য বান্ধব, ওএমএস সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বরাদ্দকৃত চালের বস্তার গায়ে আলাদা আলাদা সিল ব্যবহার করতে হবে।

ভিডিও কনফারেন্সে ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার, ঢাকা আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক সহ ফরিদপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, কিশোরগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদী, মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, টাঙ্গাইল জেলার জেলা প্রশাসকগণ, ঢাকা বিভাগের আওতাধীন প্রতিটি জেলার জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকগণ বক্তব্য রাখেন।

This post has already been read 3702 times!

Check Also

অ্যামচেম এর সাথে বিডার সংলাপ

আমেরিকান চেম্বার অফ কমার্স ইন বাংলাদেশ আজ ( সোমবার ,২১ অক্টোবর) রাজধানীর অভিজাত এক হোটেলে …