নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): সরকার কৃষকের প্রায় ২ কোটি বসতবাড়ির আঙ্গিনাকে শাকসবজির আওতায় আনার আহবান জানিয়েছে। এসব জায়গায় উন্নত জাত ও ভালো বীজ ব্যবহারের মাধ্যমে আশানুরূপ উৎপাদন পাওয়া সম্ভব। তিনি আরো বলেন, শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য দরকার পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ। আর শাকসবজি হতে পারে এর অন্যতম উৎস।তাই সবজি চাষে নিজেদের পাশাপাশি প্রতিবেশীদেরও উৎসাহিত করতে হবে।
আজ (সোমবার, ১৮ মে) বরিশালের কৃষি গবেষণার উদ্যোগে আরএআরএস ক্যাম্পাসে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে সবজি বীজ ও চারা বিতরণের সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) অতিরিক্ত পরিচালক মো. আফতাব উদ্দিন এসব কথা বলেন। ৩০ জন কৃষকের মাঝে বিতরণকৃত এসব বীজের মধ্যে ছিল ঢেঁড়শ, পুঁই শাক, শিম, লাউ, চিচিঙ্গা, গিমাকলমি ও ঝিংগা। আর চারা মধ্যে রয়েছে পেঁপে, করলা, চালকুমড়া, ঝিংগা এবং চিচিঙ্গা।
মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ সামসুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ভাসমান প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার এবং প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. গোলাম কিবরিয়া।
বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রাশেদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঊধর্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আনওয়ারুল মোমিন, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মাহবুবুর রহমান। অনুষ্ঠানে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রাজিউদ্দিন, মাহবুবুর রহমান, শর্মিলা দাস সেতু, স্মৃতি হাসনা, কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিক অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী প্রতি ইঞ্চি জমির ব্যবহার এবং আগামীতে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষেই এ আয়োজন। এর মাধ্যমে উৎসাহিত হয়ে প্রতিটি কৃষকের পতিত জমি চাষের আওতায় আসবে।