নিজস্ব প্রতিবেদক: কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, এমপির নির্দেশনায় বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট-এ বাস্তবায়নাধীন পাট বিষয়ক মৌলিক ও ফলিত গবেষণা প্রকল্প (জুট জিনোম প্রকল্প) এবং চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে বাংলাদেশে সংক্রমিত নভেল করোনার ০৭টি (সাতটি) নমুনা ভাইরাসের পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্সিং সম্পন্ন করেছে। জিনোমের তথ্যসমূহ GISAID database এ জমা দেওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশে পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট-এর ওয়েবসাইটেও আপলোড করা হয়েছে। উন্মোচিত জিনোম তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, সিকোয়েন্স সমূহের সাথে সৌদি আরব, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিকোয়েন্সের মিল রয়েছে।
উন্মোচিত জিনোম সিকোয়েন্সের একটি জিনোমের ক্ষেত্রে ৭টি স্থানে, ২টিতে ৫টি স্থানে এবং ৪টিতে ৪টি স্থানে মিউটেশন বা পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছে। এছাড়া বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, ৫১১ এবং ৫১৭ নং নমুনার সিকোয়েন্সে একই স্থানে ৩৪৫ বেইসপেয়ার এর ডিলিশন পরিলক্ষিত হয়, যা সিংগাপুরের কিছু জিনোমের ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা গিয়েছে। অর্থাৎ উক্ত দুইটি জিনোমে এনএস৮ জীনটির অনুপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে।
বর্তমানে উন্মোচিত জিনোম সিকোয়েন্সের অধিকতর বিশ্লেষণের কাজ চলমান রয়েছে। উন্মোচিত সিকোয়েন্স তথ্য ডায়াগনস্টিক টেস্টগুলোর ডিজাইন এবং মূল্যায়ন করা ও চলমান প্রাদুর্ভাবটির দমনে সম্ভাব্য বিকল্প পন্থা শনাক্তকরণে সহায়ক হবে বলে আশা করা যায়।