নিজস্ব প্রতিবেদক: ঘূর্ণিঝড় আ্ম্ফানে প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার ৫শ চিংড়ি ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে , যার অর্থমূল্য প্রায় ৩২৫ কোটি টাকা। ২৬টি জেলায় এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী প্রায় ১১শ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান আজ (বৃহস্পতিবার, ২১ মে) ঢাকায় তাঁর মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষ থেকে ঘূর্ণিঝড় আম্পান পরবর্তী সার্বিক বিষয়ে অনলাইনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ তথ্য জানিয়েছেন। এ সময় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শাহ কামাল এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর মহাপরিচালক মোহাম্মদ মহসিন উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, যেহেতু এবার প্রচুর সংখ্যক গবাদিপশুকে নিরাপদে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছিল তাই মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে মৎস্য চাষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের এবং খাদ্য বিভাগের তেমন ক্ষতি হয়নি। গণপূর্ত বিভাগের সামান্য ক্ষতি হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও পটুয়াখালীতে পাট, আম, লিচু ও মুগ ডালের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ধানের তেমন ক্ষতি হয়নি। তবে, প্রায় ১৫০ কোটি টাকার আমের ক্ষতি হয়েছে । ২শ’ টি ব্রিজ ও কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার বেশির ভাগ বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও খুলনা জেলায় অবস্থিত । প্রায় ১৫০ কিলোমিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ৮৪ টি জায়গায় বাঁধের ফাটল ধরেছে । ক্ষতিগ্রস্ত এসব ফাটল ২৫০ থেকে ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে আগামীকাল থেকে সংস্কার কার্যক্রম শুরু করবে বলে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে অনেক জায়গায় ডাক বিভাগের টেলিফোন লাইন সমূহ বিচ্ছিন্ন রয়েছে যা শীঘ্রই মেরামত করা হবে ।
প্রতিমন্ত্রী আরো উল্লেখ করেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ১০ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এদের মধ্যে পটুয়াখালীতে দুইজন, যশোরে তিনজন, ভোলায় একজন, পিরোজপুরে একজন ,সাতক্ষীরায় একজন ,এবং চুয়াডাঙ্গা জেলায় দুইজন মৃত্যুবরণ করেছেন।