নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): বরিশাল কৃষির সম্ভাবনাময় অঞ্চল। যে কোনো ফসলের ফলন নির্দিষ্ট পরিমাণের পর আর বাড়ানো সম্ভব নয়। কিন্তু দক্ষিণাঞ্চলে আবাদি জমি বৃদ্ধির যথেষ্ট সুযোগ আছে। এসব তথ্য এবং কৃষির গবেষণালব্দ প্রযুক্তি এখানকার চাষিদের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে হবে। আমাদের এক ইঞ্চি জমিও ফাঁকা রাখা যাবে না। কৃষক আর কৃষিবিদের সমন্বিত প্রচেষ্টায়ই হতে পারে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা। আজ (মঙ্গলবার, ২৩ জুন) বরিশালের আরএআরএস সেমিনারকক্ষে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এক আঞ্চলিক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) পরিচালক ( সেবা ও সরবরাহ) মো. হাবিবুর রহমান শেখ এসব কথা বলেন।
আরএআরএস, রহমতপুর এবং পটুয়াখালীর সরেজমিন গবেষণা বিভাগ আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ সামসুল আলম। আঞ্চলিক গবেষণা, সম্প্রসারণ পর্যালোচনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন শীর্ষক দু’দিনের এ কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) বরিশাল অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আফতাব উদ্দিন এবং ফরিদপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. রিফাতুল হোসাইন।
বারি’র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মাহবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (এটিআই) অধ্যক্ষ গোলাম মো. ইদ্রিস, ডিএই ফরিদপুরের উপপরিচালক কার্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী, আঞ্চলিক ডাল গবেষণা কেন্দ্র মাদারীপুরের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. ছালেহ উদ্দিন, বারি’র প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. শহীদুল ইসলাম খান, পিএসও ড. মো. আলিমুর রহমান, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. সেলিম আহমেদ, এসএসও (চ.দা.) গাজী নাজমুল হাসান, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. বাবুল আকতার, বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএসআরআই) ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. খলিফা শাহ আলম, বারির বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রাশেদুল ইসলাম প্রমুখ।
কর্মশালায় ডিএই, বারি, কৃষি তথ্য সার্ভিস, বিনা, বিএসআরআইসহ কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৪৫ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।