নিজস্ব প্রতিবেদক: কাজু বাদাম, কফি, ড্রাগন ফলসহ অপ্রচলিত ফসলের চাষাবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধি এবং প্রক্রিয়াজাতে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, এমপি। প্রধান অতিথি হিসাবে কৃষিমন্ত্রী বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) সকালে তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে উপজেলা পর্যায়ে কৃষি কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে উপজেলা কৃষি অফিসারদের অনুকূলে গাড়ি বিতরণকালে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রচলিত ফসলের সাথে কাজু বাদাম,কফি, ড্রাগন ফলসহ বিভিন্ন অপ্রচলিত ফসলের চাষাবাদ, উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাত বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে কৃষকদের সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও উত্তরাঞ্চলের অনেক জেলাতে কাজু বাদাম,কফি প্রভৃতি চাষ সম্ভব। আন্তর্জাতিক বাজারে এগুলোর চাহিদা অনেক বেশি, দামও বেশি। সেজন্য এসব ফসলের চাষাবাদ ও প্রক্রিয়াজাত বাড়াতে হবে। তিনি আরও বলেন, চাষাবাদের জমি বাড়ানোর সুযোগ খুব একটা নেই, বরং জমি দিন দিন কমে যাচ্ছে। সেজন্য একই জমিতে বার বার ফসল উৎপাদন করতে হবে, ফসলের নিবিড়তা বাড়াতে হবে এবং ফসলে বৈচিত্র্য আনতে হবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কৃষিকে বাণিজ্যিকীকরণ ও যান্ত্রিকীকরণে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছেন। কৃষিতে এ সরকারের এখন মূল লক্ষ্য হলো খোরপোশের কৃষিকে বাণিজ্যিকীকরণ ও লাভজনক করা। মন্ত্রী এসময় কৃষিকাজ করে কৃষকেরা যাতে লাভবান হতে পারে, নিজেদের জীবনে গুণগত পরিবর্তন আনতে পারে এবং ভবিষ্যত প্রজন্মকে উন্নত-সমৃদ্ধ জীবন উপহার দিতে পারে সে লক্ষ্যে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারিকে নিষ্ঠার সাথে কাজ করার আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, ‘উপজেলা পর্যায়ে প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে কৃষক প্রশিক্ষণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্পের’ মাধ্যমে বর্তমান অর্থ বছরে প্রকল্পভূক্ত ৫১টি উপজেলায় ৫১টি ডাবল কেবিন পিক-আপ সরবরাহ করা হয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি বিস্তার ও কৃষক প্রশিক্ষণের বিষয়টিকে গুরুত্ব বিবেচনা করে কৃষি মন্ত্রণালয়ের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এ প্রকল্পটি জানুয়ারি, ২০১৮ হতে ডিসেম্বর, ২০২২ খ্রি: মেয়াদে দেশের ৪৭টি জেলার ১০৬টি উপজেলায় ৩১৪.২৯ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করছে।
এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামান। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল মুঈদের সভাপতিত্ব আরও বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. শাহ আলম, প্রকল্প পরিচালক তাজুল ইসলাম পাটোয়ারি প্রমুখ। এসময় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সংস্থাপ্রধানসহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।