নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল) : বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে চাষকৃত গুরুত্বপূর্ণ ফল, পান, সুপারি ও ডালফসলের পোকামাকড় সনাক্তকরণ ও সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও বিস্তার কর্মসূচির উদ্যোগে আজ রবিবার () বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন রৈভদ্রদী গ্রামের পানচাষিদের মাঝে কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হয়। এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ সামসুল আলম।
তিনি বলেন, পান এমন এক পণ্য, যা সরাসরি খাওয়া হয়। তাই এর রোগপোকা দমনে রাসায়নিক কীটনাশক নয়। এজন্য প্রয়োজন জৈব বালাইনাশকের ব্যবহার। নিরাপদ পান উৎপাদনে এর জুড়ি নেই। এ বিষয়ে পানবরজ মালিকদের এগিয়ে আসতে হবে। তাহলেই দেশে-বিদেশে এর চাহিদা বাড়বে আরো।
ভাসমান বেডে সবজি ও মসলা চাষ গবেষণা, সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয়করণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বারির প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. গোলাম কিবরিয়া এবং পিএসও ড. আলিমুর রহমান। গেস্ট অব অনার হিসেবে ছিলেন কর্মসূচি পরিচালক ড. মো. মাহবুবুর রহমান।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রাশেদুল ইসলাম এবং সংশ্লিষ্ট উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম।অনুষ্ঠানে বারির বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রাজিউদ্দিন, এসও মো. মাহবুবুর রহমান, শর্মিলা দাস সেতু, এবং কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিক অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে ৭ জন পান চাষির প্রত্যেককে বিনামূল্যে ৫০ কেজি সরিষার খৈল, ২০ কেজি ডিএপি সার এবং বিভিন্ন জৈব বালাইনাশকসহ ৯ ধরনের কৃষি উপকরণ দেওয়া হয়।