Sunday , April 27 2025

হাটের বাইরে বিক্রিত পশুর হাসিল আদায় করা যাবে না -মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, “আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে গবাদিপশুর পরিবহণে কোনভাবেই যেনো চাঁদাবাজি না হয়। সিন্ডিকেট করে ট্রাক আটকানো বন্ধ করতে প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে। খামারি ও গবাদিপশু বিক্রেতারা যেনো কোনভাবেই হয়রানির শিকার না হয়। যারা হাটের বাইরে পশু বিক্রি করবে তাদের কাছে যেনো কেউ টোল বা হাসিল তুলতে না যায়। এ বিষয়গুলোতে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।” গবাদিপশুর ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যসত্ত্বলোভী, অযৌক্তিক ও বেআইনি জুলুমের হাত থেকে বাঁচাতে সংশ্লিষ্ট সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান এ সময় মন্ত্রী মন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) বিকেলে সচিবালয়স্থ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে তার দপ্তর কক্ষে অনলাইনে গবাদিপশু কেনা-বেচা এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের মাধ্যমে পরিবহণ সংক্রান্ত এক অনলাইন সভায় সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবদুল জব্বার শিকদার, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. নাথু রাম সরকারসহ সকল বিভাগীয় কমিশনার এবং বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উপপরিচালকগণ সভায় অনলাইনে অংশগ্রহণ করেন।

মন্ত্রী আরো যোগ করেন, “গবাদিপশুর ক্রয়-বিক্রয় যতটা সম্ভব অনলাইন প্লাটফর্মে করতে হবে। এ বিষয়টি তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে হবে। অনলাইনে গবাদিপশুর মূল্য নির্ধারণে মাঠ পর্যায়ের প্রাণিসম্পদ দপ্তরগুলোকে সহায়তা করবে। ইতোমধ্যে তারা প্রান্তিক খামারিদের উৎসাহিত করছে। ট্রাকের পাশাপাশি বিকল্প হিসেবে স্বল্প খরচে রেলওয়ের মাধ্যমেও গবাদিপশু পরিবহণ করা যাবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রাণিসম্পদ দপ্তরগুলো ট্রেনের রুট ও সিডিউল ঠিক করে দেবে।”

পরিবেশ দূষণের আতঙ্ক যেনো কোরবানিকে ঘিরে না হয় এবং পশুর চামড়া এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে কোনধরণের অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি সৃষ্টি যাতে না হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কমিশনারদের তাদের আওতাধীন জেলা, উপজেলা, পৌর এলাকা ও গ্রামের হাট-বাজারের বিষয়ে যত্নবান হবার আহ্বান জানান মন্ত্রী।

প্রতিটি জেলা প্রশাসন মোবাইল অ্যাপস এর মাধ্যমে অনলাইনে কোরবানির গবাদিপশু কেনা-বেচার উদ্যোগ নিয়েছে বলে স্ব স্ব বিভাগীয় কমিশনারগণ সভায় জানান। ডিজিটাল প্লাটফর্মে বিভাগের অন্তত ৩০ শতাংশ গবাদিপশু কেনা-বেচা করার প্রচেষ্টা থাকবে বলেও কমিশনারগণ সভায় আস্বস্ত করেন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণা চালানো প্রয়োজন বলেও তারা সভায় অভিমত দেন।

This post has already been read 4078 times!

Check Also

মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক  বাংলাদেশের জন্য একটি বিশাল অর্জন – মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক: গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর  দোরগোড়ায় মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিকের (এমভিসি) সেবা পৌঁছে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে  …