নিজস্ব প্রতিবেদক: কৃষি উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতে নতুন আইডিয়া বা উদ্ভাবনী নিয়ে শিক্ষিত তরুন প্রজন্মকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক, এমপি। তিনি বলেন, দেশে দিন দিন কৃষি শ্রমিকের সংকট বাড়ছে। অন্যদিকে শিক্ষিত তরুনদের মধ্যে রয়েছে কৃষির প্রতি অনীহা। দেশের শিক্ষিত বেকার তরুনদেরকে কৃষিকাজে আকৃষ্ট করতে হবে, তাঁদের আগ্রহ বাড়াতে হবে। তাঁদের মাধ্যমেই কৃষিখাতে নতুন মাত্রা যোগ হতে পারে। কৃষি উন্নত, আধুনিক ও লাভজনক হতে পারে। কৃষিমন্ত্রী রবিবার (২৬ জুলাই) নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে গ্রামীণ কৃষি অর্থনীতি শক্তিশালীকরণে যুব উদ্যোক্তা শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, শিক্ষিত তরুনেরা পুরনো পদ্ধতির কৃষিতে আকৃষ্ট হবে না। তাঁরা হাল নিয়ে চাষাবাদে বা হাত দিয়ে ধান লাগাতে কম আগ্রহী হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তাঁরা উন্নত প্রযুক্তির আধুনিক কৃষি উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতে আগ্রহী হবে। এ সরকার কৃষিকে লাভজনক, আধুনিকীকরণ ও যান্ত্রিকীকরণে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। সম্প্রতি কৃষি যান্ত্রিকীকরণের নেয়া হয়েছে ৩ হাজার ২০ কোটি টাকার প্রকল্প। যার মাধ্যমে প্রায় ৫২ হাজার আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি কৃষকদের দেয়া হবে। এতে কৃষি উৎপাদন যেমন বাড়বে তেমনি কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতও বাড়বে। পাশাপাশি, কৃষির যান্ত্রিকীকরণের ফলে দেশের শিক্ষিত বেকার তরুনেরা খুব সহজেই কৃষিকাজে আকৃষ্ট হবে, আগ্রহী হবে। তরুনেরা শুধু প্রচলিত ফসল নয়, অপ্রচলিত ফসল যেমন কাজু বাদাম, কফি, ড্রাগন ফল, গোল মরিচসহ নতুন নতুন ফসলের চাষাবাদে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে।
এ ওয়েবিনারে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীর। উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় বোর্ড অব ট্রাস্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু ইউসুফ মো. আবদুল্লাহ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান এস.এম.বখতিয়ার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। ওয়েবিনারে কোভিড-১৯ চলাকালীন সম্ভাব্য খাদ্য সংকট মোকাবিলা, গ্রামীণ কৃষি অর্থনীতি শক্তিশালীকরণ ও কৃষিকে লাভজনক করতে তরুনদের উদ্যোক্তা হওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।