মো. আবুল হোসেন (কিশোরগঞ্জ): করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে গত ঈদুল ফিতরের ন্যায় আসন্ন ঈদুল আযহার জামাতও অনুষ্ঠিত হবে না। সোমবার (২৭ জুলাই) বিকালে অনুষ্ঠিত ‘ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠ পরিচালনা কার্যকরী পরিষদ ও সাধারণ পরিষদ’ এর এক জরুরী সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
জুম ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে অনুষ্ঠিত এই সভায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষ প্রান্তে শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠ পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দ, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, আলেম ওলামাগণ ও সাংবাদিকবৃন্দ সংযুক্ত ছিলেন।
অন্যদিকে জুম কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ও শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী।
সভায় জুম কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার), সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. আসাদ উল্লাহ প্রমুখ নিজ নিজ অফিস ও বাসা থেকে সংযুক্ত ছিলেন।
অন্যদিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষ প্রান্তে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আব্দুল্লাহ আল মাসউদ, শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠ পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল কাদির মিয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ আফজল, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মো. ফারুক আহম্মেদ, জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক একেএম শামছুল ইসলাম খান মাসুম, আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা সাব্বির হোসেন রশিদ, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সাত্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ও সভার আলোচনায় অংশ নেন।
সভায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনামত গত ঈদুল ফিতরের ন্যায় এবারও শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে ঈদুল আযহার ঈদ জামাত হবে না মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এছাড়া সকলকে ঈদ জামাত ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে নিকটস্থ মসজিদে আদায়ের জন্য (প্রয়োজনে একই মসজিদে একাধিক জামাত আদায় করা যাবে) নির্দেশনা প্রদান করা হয়।