নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনা মহামারি ও চলমান বন্যায় পোলট্রি, মৎস্য ও ডেইরি সেক্টরে যখন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রতিনিয়ত দুঃসংবাদ শুনে সেক্টর সংশ্লিষ্টদের মনটা যখন খারাপ করে দেয়, ঠিক সেই সময়ে দেশের প্রাণিজ আমিষ খাতের অন্যতম স্বনামধন্য কোম্পানি নারিশ ফিড নিয়ে এসেছে মন ভালো করে দেয়া দারুন এক সুসংবাদ। নারিশের সুনাম দেশের গন্ডি পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে। ফলে দেশটিতে রপ্তানি শুরু হয়েছে নারিশ ফিড। মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) ৩০ টন ফিস ফিড ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে পাঠানো হয়। জানা যায়, মোট ২০০ টন অর্ডারের প্রথম চালান এটি। আগরতলার বিল্লাল হোসেন নামে স্থানীয় এক চাষি নারিশ থেকে উক্ত ফিডগুলো নিচ্ছেন।
এ সম্পর্কে এক প্রতিক্রিয়ায় নারিশ পোলট্রি’র জেনারেল ম্যানেজার (সেলস এন্ড মাকের্টিং) সামিউল আলিম বলেন, এটি শুধু আমাদের জন্যই নয়, নি:সন্দেহে দেশের জন্য একটি গৌরবের বিষয়। এই গৌরবের অংশীদার নারিশ পরিবারের প্রতিটি সদস্যের পাশাপাশি, এদেশের প্রতিটি খামারি এবং সেক্টর সংশ্লিষ্ট সকলে। কারণ, আমাদের দেশের খামারিদের আস্থা অর্জন করতে না পারলে বিদেশে নারিশের সুনাম অর্জন সম্ভব ছিলনা। আমাদের এই চালানে শুধু ফিস ফিড রপ্তানি করা হয়েছে। পরবর্তীতে আমরা পোলট্রি ও অন্যান্য প্রাণিজাত ফিড রপ্তানি করবো দেশটিতে, যোগ করেন সামিউল আলিম।
সামিউল আলিম বলেন, আমাদের সক্ষমতা ও গুণগত মান সবই আছে ভারতের পাশাপাশি নেপাল, ভুটান, মধ্যপ্রাচ্য, মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে পোলট্রি ও মাছের খাদ্য (ফিড) রপ্তানি করার। এজন্য দেশীয় উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করতে সরকারকে এ ব্যাপারে আরো বেশি আন্তরিকতার সাথে এগিয়ে আসতে হবে। এসব পণ্য রপ্তানি করতে দাপ্তরিক নিয়মাবলী যেমন- এনওসি, ল্যাব টেস্ট এসবের সময় আরো কমিয়ে আনা খুবই জরুরি। পণ্য রপ্তানি দীর্ঘসূত্রিতা ও বাধাগ্রস্ত হওয়ার কারণগুলোর মধ্যে এ দুটি অন্যতম।
তিনি বলেন, সরকার যদি সুযোগ করে দেয় তাহলে ভারতের পাশাপাশি অন্যান্য দেশে পোলট্রি-মৎস্য ফিড ও সংশ্লিষ্ট প্রক্রিয়াজাত পণ্য রপ্তানি করে দেশের মুখ যেমন উজ্জ্বল হবে, তেমনি বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে; পাশাপাশি বাড়বে কর্মসংস্থান, ঘুচবে বেকারত্ব।