বাংলাদেশের ইতিহাসে এবারের কোরবানীর ঈদ করোনাভাইরাসের কারনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবার একটু ব্যাতিক্রমী ভাবে উদযাপিত হয়েছে । বাবসায়ীদের আশংকা ছিল মহামারীর প্রভাব হয়তো কোরবানির পশুর হাটে পড়বে। তবে সব আশংকা দূর করে রাজধানী সহ বাংলাদেশের সব পশুর হাটে ক্রেতা সাধারণের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। তাছাড়া অনেকে অনলাইন প্লাটফর্ম থেকেও গরু কিনেছেন।
এবারের ঈদে বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে যেমন ভারত, মায়ানমার, নেপাল ও ভুটান থেকে গরু আমদানি করা হয়নি। বাংলাদেশে বর্তমানে বানিজ্যিকভাবে গরুর খামার বিকাশ লাভ করলেও মোট চাহিদার প্রায় ৮০ ভাগ যোগান আসে প্রান্তিক খামারিদের কাছ থেকে। এই সকল খামারিরা প্রতক্ষ্যভাবে বাংলাদেশে মানসম্মত পশু খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নারিশ ফিড সহ অন্যান্য কোম্পানির ফিড খাওয়ানোর মাধ্যমে গরু মোটাতাজাকরন করে থাকেন তারা এবারের ইদে লাভের মুখ দেখেছেন। ক্রেতা সাধারণ ও ন্যায্যমূল্য দেশি গরু কিনতে পেরে খুশি হয়েছেন।
নারিশ পরিবারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের সকল খামারি ক্রেতা সাধারণকে পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা। নারিশের উল্লেখযোগ্য কিছু খামারী যারা এই কোরবানির ঈদে গরু বিক্রয় করে লাভবান হয়েছেন নিন্মে তাদের ক্যাপশন দেওয়া হলো।
শাকিল এগ্রো, ঘিওর, মানিকগঞ্জ গত জানুয়ারির ২১ তারিখে লোকাল হাট থেকে উক্ত ষাঁড়টি কিনেন, যার ক্রয়ের সময় আনুমানিক লাইভ ওজন ছিল ৬৮০ কেজি এবং দুইটি স্থায়ী দাঁত কেবল উঠেছে তখন। তিনি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নারিশের ক্যাটল ফিড খাওয়ান এবং এই কোরবানিতে বিক্রি করার সময় লাইভ ওজন পান ৯১২ কেজি। এই প্রথম বার ষাড়ের খামার শুরু করে এমন উল্লেখযোগ্য সফলতায় খামারী শাকিল আগামিতে আরো জোরেশোরে ফ্যাটেনিং প্রজেক্ট করতে চান এবং সেক্ষেত্রে নারিশের ক্যাটল ফিডই তার একমাত্র ভরসা।
মো. বাছের, মেসার্স জে এস টেড্রাস, গঙ্গাচড়া, রংপুর তিনি নারিশের একজন খামারী। তিনি যখন খামারে গরুগুলো এনেছিলেন তখন লাইভ ওজন ছিল ৬৫০- ৭০০ কেজি। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নারিশের ক্যাটল ফিড খাওয়ায়ে এই কোরবানির ঈদে বিক্রি করেছেন। লাইভ ওজন ছিল ৯৫০কেজি। খামারী খুবই লাভবান হয়েছেন। তার একমাত্র আস্থা নারিশের ক্যাটল ফিড।
কাফওয়ান এন্টারপ্রাইজ, মো. মিজানুর রহমান ,কুলাঘাট, লালমনিরহাট সদর, নারিশ ফিডের একজন সম্মানিত পরিবেশক । উনার নিজের গাভিরই একটি ষাঁড় বাছুর, যার কোরবানিতে বিক্রয়ের সময় বয়স ২৬ মাস এবং লাইভ ওজন ছিল ৯৪৫ কেজি।
খামারী আব্দুস সাত্তার, বামন্ডাঙ্গা, আতাইখুলা, পাবনা। তিনি নারিশের ক্যাটল ফিড খাওয়ায়ে গরু মোটাতাজাকরন করে এই ঈদে বিক্রি করেছেন। লাইভ ওজন ছিল ৮৫০ কেজি।
আলহাজ রহিম টেড্রাস, ভাঙ্গুরা, পাবনা। খামারী পিয়াস তিনি শুরু থেকে নারিশের ক্যাটল ফিড দিয়ে এই কোরবানির ঈদে বিক্রি করেছেন। লাইভ ওজন ছিল ৯০০- ৯৫০ কেজি। খামারী খুবই লাভবান হয়েছেন।
সাগর এন্টারপ্রাইস, শ্রীপুর, গাজীপুর। খামারী মিনহাজুল এই ঈদে গরুটি বিক্রি করেছেন লাইভ ওজন হয়েছিল ১০৩৫ কেজি।
তালুকদার পোল্ট্রি , উল্লাপাড়া, সিরাজগঞ্জ নারিশের সম্মানিত পরিবেশক তার খামারী মো আনিছুর রাহমান এই গরুটি কোরবানির ঈদে বিক্রি করেছেন। গরুটির লাইভ ওজন হয়েছিল ১০৩০ কেজি।
এস আর এন্টারপ্রাইস, কাথগুরা, আশুলিয়া, ঢাকা। খামারী মো. রুবেল এই গরুটি কোরবানির ঈদে বিক্রি করেছেন যার লাইভ ওজন ছিল ৮০০ কেজি।
ফ্রেন্ডস টেড্রাস , দক্ষিণখান, ঢাকা কোরবানির ঈদে এই গরুটি বিক্রি করেছেন। নারিশের ক্যাটল ফিড খাওয়ায়ে লাইভ ওজন হয়েছিল ৮৫০ কেজি।
সরকার এগ্রো ফার্ম, মো. এমন সরকার, টঙ্গি, গাজীপুর তার ফার্মে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নারিশ ফিড খাওয়ায়ে লাইভ ওজন এসেছে ৭৫০-৮০০ কেজি।
পুলক সাহা, সমরনাথপুর, নারিশের একজন খামারী তার খামারে প্রতিটি গরুর লাইভ ওজন ৮৫০ -৯০০ কেজি।