বুধবার , ডিসেম্বর ১৮ ২০২৪

ফসলের পাশাপাশি শাকসবজি ও দেশজ ফলের উৎপাদন বাড়াতে হবে -খাদ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: কৃষিজমি দিন দিন কমে যাচ্ছে। এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন এক ইঞ্চি জমিও যেন পতিত পড়ে না থাকে। প্রতিটা ইঞ্চি জমিকে উৎপাদনের আওতায় আনতে হবে। এজন্য সেচ ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে। বরেন্দ্র এলাকায় বৃষ্টির পানি ধরে রাখা যায় না, এ এলাকায় ফসল উৎপাদনের জন্য কিভাবে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা যায় সে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখতে হবে। পাশাপাশি কৃষকের উৎপাদিত ফসলের প্রাপ্য মূল্যের নিশ্চয়তা দিতে হবে। তাহলে কৃষক ফসল উৎপাদনে উৎসাহিত হবে, নিরুৎসাহিত হবে না।

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার আজ (বৃহস্পতিবার, ১৩ আগস্ট ) সকাল ১১ টায় FAO, USAID এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন FPMU এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত “Monitoring report 2020 of the Bangladesh Second Country Investment plan Nutrition-Sensitive food System” শীর্ষক সভায় সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। মন্ত্রী তার মিন্টু রোডস্থ সরকারি বাসভবন থেকে অনলাইন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন। অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম।

মন্ত্রী বলেন, এই করোনাকালীন সময়ে বিভিন্ন ধরনের ফসলের পাশাপাশি সবজি ও নানা ধরনের দেশজ ফল চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করতে হবে। উৎপাদনের পর সঠিক বাজার ব্যবস্থাপনা নির্বিঘ্ন করতে হবে। সবজি ও ফলমূলের ক্ষেত্রে কৃষকের চেয়ে মধ্যস্বত্বভোগীরা বেশি মুনাফা নিয়ে যায়, ফলে দিন দিন কৃষকের এ সেক্টরে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। কিন্তু শাকসবজি ও দেশজ ফল বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির অন্যতম উৎস। করোনা মহামারীর কারণে অনেক মানুষ কাজ হারিয়ে বেকার হয়ে পড়ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন,  এই করোনা থেকে কবে মুক্তি তা এখনও কেউ জানে না, সে জন্য নতুন করে চিন্তা-ভাবনা করতে হবে কিভাবে এই করোনাকে মোকাবেলা করে দারিদ্র্যের হার কমানো যায়।

মন্ত্রী বলেন, আমরা অনেকেই অসচেতন। এই covid-19 র সময়েও অনেকেই মাস্ক পড়ে না, এজন্য আরো সচেতনতা তৈরি করতে হবে। তেমনি খাদ্যেও অনেকে ভেজাল দেয়। এজন্য আমরা জনসচেতনতা সৃষ্টি করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা আমাদের মনকে ভেজাল মুক্ত করতে না পারবো, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা ভেজাল মুক্ত হতে পারবনা।  তিনি এই করোনাকালীন সময়ে সেবার মনমানসিকতা নিয়ে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে USAID র প্রাইভেট সেক্টর এডভাইজার অনিরুদ্ধ রায়, MUCH র চিফ টেকনিকাল এ্যডভাইজার নাওকি মিনামিগুচী, MUCH র সিনিয়র নিউট্রিশন এডভাইজার লতিফা ভট্টাচার্য, পলিসি স্পেশালিস্ট সুশিল পান্ডে সহ খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ ইউনিটের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ।

This post has already been read 4290 times!

Check Also

মালদ্বীপের সাথে শীঘ্রই বাংলাদেশের সরাসরি জাহাজ চলাচল শুরু হবে- নৌপরিবহন উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক: নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন …