নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের কৃষির উন্নয়নে বিএডিসি’র গুরুত্ব অপরিসীম। সার, বীজ, সেচসহ কৃষি উপকরণ সরবরাহে বিএডিসিকে আরও এগিয়ে আসতে হবে। আপনারা নতুন নতুন জাত ও প্রযুক্তি বাস্তবায়নে এগিয়ে আসুন। বেসরকারি কোম্পানিগুলো যেখানে নতুন নতুন জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণে এগিয়ে যাচ্ছে সেখানে বিএডিসি কেন পিছিয়ে আছে, সেটি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে যুগোপযোগী উদ্যোগ নিতে হবে। আপনারা সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করবেন। তাহলেই বঙ্গবন্ধুর আর্দশ বাস্তবায়িত হবে, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ, শান্তির বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে। শোক দিবস পালন অর্থপূর্ণ হবে।
কৃষিমন্ত্রী সোমবার (১৭ আগস্ট) সকালে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) আয়োজিত ‘জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২০ পালন উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিএডিসি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে অনলাইনে এসব কথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামান।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ১৫ই আগস্টের হত্যাকাণ্ড মানবেতিহাসের বর্বরোচিত ঘটনা। আমরা অনেক হত্যার কথা জানি, আমরা আব্রাহাম লিংকন, জন এফ কেনেডিসহ বিশ্বের অনেক রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের কথা জানি। কিন্তু এমন নিষ্ঠুর, নির্মম, পৈশাচিক ও জঘণ্য হত্যাকাণ্ড কোথাও হয়নি। অন্ত:স্বত্তা মহিলা, শিশু রাসেল, বঙ্গমাতা কেউ বাদ যায় নি। এরচেয়ে মর্মান্তিক ও দু:খজনক ঘটনা আর কি হতে পারে।
ড. রাজ্জাক বলেন, ১৫ই আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হত্যা করতে চেয়েছিল দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা। সেই ষড়যন্ত্রকারীরা এখনো তৎপর রয়েছে। সেজন্য, ১৫ই আগস্টের হত্যার পিছনে যারা ছিলো, সেসব কুশীলবদের চেহারা উন্মোচন করা দরকার। ইতোমধ্যে সেসব কুশীলবদের অনেকের চেহারা তাদের কথাবার্তা ও কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জাতির সামনে উন্মোচিত হয়েছে, একটি কমিশন গঠন করে সরকারিভাবে তাদের নাম লিপিবদ্ধ করা উচিত। লিপিবদ্ধ করে তাদের কুৎসিত চেহারা জাতির সামনে তুলে ধরতে হবে।
তিনি বলেন, ৭১’এর যুদ্ধাপরাধীরা মানবতাবিরোধী, এরা মানবতার শত্রু। এরা ধর্মকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করতে চায়। ধর্মকে ব্যবহার করে বাংলাদেশের সংস্কৃতি, আর্দশ ও ঐতিহ্যকে বিলুপ্ত করতে চায়। মুক্তিযুদ্ধের সময় যে কায়দায় এরা হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতন চালিয়েছিল ঠিক একই কায়দায়, একই ধারায় দিবালোকে ২১শে আগস্টে গ্রেনেড হামলা করেছে, যুদ্ধের মতো। ১৫ই আগস্ট এবং ২১শে আগস্টে গ্রেনেড হামলা একইসূত্রে গাঁথা।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামান বলেন, এখনো যারা ১৫ আ্গস্টে আনন্দ উল্লাস করে তাদের উদ্দেশ্য কী. তাদের পিছনে কে আছে তা খতিয়ে দেখতে হবে। বিদেশে পালিয়ে থাকা আসামিদের দেশে ফিরিয়ে এনে সাজা বাস্তবায়নের পাশাপাশি ১৫ আগস্টের পৈশাচিক নির্মম হত্যাকাণ্ডের পিছনের কুশীলবদের খুঁজে বের করা প্রয়োজন।
বিএডিসি’র চেয়ারম্যান মো. সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিএডিসি’র সদস্য সদস্য পরিচালক (অর্থ) মো: আমিরুল ইসলাম,সদস্য পরিচালক (ক্ষুদ্রসেচ) মো. আরিফ,সদস্য পরিচালক (সার ব্যবস্থাপনা) ড. এ কে এম মুনিরুল হক, সদস্য পরিচালক ( বীজ ও উদ্যান ) মো. নূরনবী সরদার, সচিব মো. আনোয়ার ইমাম প্রমুখ সভায় বক্তৃতা করেন।