নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): কৃষক সংগঠনগুলো কৃষিবহুমুখীকরণ, যান্ত্রিকীকরণ এবং বাণিজ্যিকীকরণে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হতে পারে। এ ওয়েবিনার তথা প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে কৃষকরা তাদের সম্পদের সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ ব্যবহার নিশ্চিতকরণে সহায়ক হবে। এফএও’র গ্লোবাল এগ্রিকালচার এন্ড ফুড সিকিউরিটি প্রোগ্রামের (জিএএফএসপি) আয়োজনে বুধবার (২৬ আগস্ট) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এমএমআই কমিউনিটি ওয়েবিনার সিরিজ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, এর মাধ্যমে চাষিদের আপন শক্তিকে কাজে লাগাতে পারবে। পুঁজির ঝুঁকিগুলো এড়িয়ে ব্যবসা থেকে যথেষ্ট পরিমাণ মুনাফা অর্জনেও সক্ষম হবে। তিনি কৃষক সংগঠনগুলোর কাজের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
এক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল মুঈদ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ, বিশ্ব ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ড. ইফতিখার মোস্তফা, এফএও ইনভেস্টমেন্ট সেন্টারের এশিয়া প্যাসিপিক সার্ভিসের প্রধান টাকায়ুকি হাগিওয়ারা এবং বাংলাদেশের এফএও দেশীয় প্রতিনিধি রবার্ট ডি. সিম্পসন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডিএই রংপুরের উপপরিচালক ড. মো. সরওয়ারুল হক, এফএও ঢাকা ফুড সিস্টেমের চীফ টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার জন টেইলর প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন এমএমআই-বাংলাদেশের সমন্বয়কারী ড. ইমানুন নবী খান এবং মূল আলোচক হিসেবে ছিলেন এফএও ইনভেস্টমেন্ট সেন্টারের কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামসুদ্দীন।
অনুষ্ঠানে কৃষি সংশ্লিষ্ট সরকারি- বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রতিনিধি ও কৃষক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ ২৪১ জন অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, বিশ্বে মাত্র ১০-১৫ ভাগ ক্ষুদ্র কৃষক সংগঠিত আছেন। তারা খাদ্যের যোগানদাতা হলেও নানান সমস্যায় জর্জরিত। এর মধ্যে পুঁজির ঘাটতি, সাংগঠনিক দুর্বলতা ও আর্থিক ব্যবস্থাপনার অভাব অন্যতম। তবে জিএএফএসপি ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এফএও এমএমআই প্রকল্পের পরামর্শে কৃষক সংগঠনগুলো ক্রমান্বয়ে দক্ষ ও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠছে। সে ধারাবাহিকতার ফসল হলো কমিউনিটি ওয়েবিনার সিরিজ তথা প্রশিক্ষণের আয়োজন করা। মোট ১৪টি বিষয়ে এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হবে। অংশীদার সংগঠনগুলো ১৫টি ভ্যালুচেইনে বিনিয়োগ, সে সাথে রুরাল ইনভেস্ট টুল ব্যবহার করে তারা ব্যবসাপরিকল্পনা দাঁড় করেছেন। এসব বিষয়গুলো হলো বীজগ্রাম, নিরাপদ মাংস উৎপাদন, মাছচাষ, দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকরণ, সোনালী মুরগী পালন, হাঁস পালন, নিরাপদ সবজি উৎপাদন, লাভজনক শস্য বিন্যাস, মিশ্র উদ্যানফসল, ঔষধিবৃক্ষ, স্বাস্থ্যকর খাদ্য, টেকসই কৃষক সংগঠন এবং ভার্চুয়ালকল সেন্টার।