শুক্রবার , নভেম্বর ১৫ ২০২৪

সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতের সাথে বাণিজ্যমন্ত্রীর মতবিনিময়

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি, এমপি বলেছেন, সুইজারল্যান্ড বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়ীক অংশিদার। উভয় দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রচুর সুযোগ রয়েছে, এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশের বিভিন্ন স্থানে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলর কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে, এগুলোর প্রায় অর্ধেকের কাজ সমাপ্তির পথে। এগুলোতে জাপান, ভারত, চীন, কোরিয়াসহ বিভিন্ন দেশ বড় ধরনের বিনিয়োগ করতে এগিয়ে এসেছে। বাংলাদেশ বিনিয়োগকারীদের জন্য ট্যাক্সসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আকর্ষণীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে। বাংলাদেশ সুইজারলান্ডের জন্য লাভজনক বিনিয়োগ স্থল হতে পারে। সুইজারল্যান্ডের ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারী দল বাংলাদেশ সফর করলে ইতিবাচক ফল পাওয়া যাবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী রবিবার (০৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড -এর সাথে মতবিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, পরিবর্তনশীল বিশ্ববাণিজ্য পরিস্থিতিতে চীন থেকে আমেরিকা, জাপানসহ অনেক দেশ তাদের শিল্প কলকারখানা রিলোকেশনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। দেশগুলো বাংলাদেশকে এখন বিনিয়োগের উপযুক্ত স্থান মনে করছে। বাংলাদেশ বিনিয়োগের আনুষ্ঠানিকতা সহজ ও দ্রুত করার পদক্ষেপ নিয়েছে। অতিসহজেই বাণিজ্য করার পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। বিনিয়োগের জন্য এখন বাংলাদেশ উপযুক্ত স্থান।

সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত বলেন, সুইজারল্যান্ড বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে অগ্রাধীকার দেয়। বাংলাদেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে সুইজারল্যান্ড প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। উভয় দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে এবং বাণিজ্য সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে। ফার্মাসিউটিক্যালস এবং লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরে বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রচুর সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। উভয় দেশের মধ্যে একটি বৈঠক করার প্রস্তাব দিয়ে তিনি বলেন, এতে করে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্র চিহ্যিত করা সহজ হবে। করোনা মোকাবেলা এবং করোনাকালে রপ্তানি বাণিজ্য অব্যাহত রাখার প্রশংসা করে তিনি বলেন, বৈদেশিক বাণিজ্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক সক্ষমতা অর্জন করেছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮৩ ভাগ আসে তৈরী পোশাক খাত থেকে। সরকার রপ্তানি খাতের পণ্য সংখ্যা বৃদ্ধি করতে কৃষিজাত পণ্য, ফার্মিাসিটিকেল, চামড়াজাত পণ্য, আইসিটি, পাটজাত পণ্য সেক্টরকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। বাংলাদেশের প্রচুর দক্ষ জনশক্তি রয়েছে। এছাড়া, সেবা খাতেও বাংলাদেশের প্রচুর দক্ষ জনশক্তি রয়েছে। সুইজারল্যান্ড চাইলে তা ব্যবহার করতে পারে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জাপানের বিখ্যাত মিৎশুবিসি এবং ভারতের টাটা কোম্পানি বাংলাদেশে গাড়ি তৈরি কারখানা স্থাপনের চিন্তা করছে। ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট(এফডিআই) আকৃষ্ট করতে বাংলাদেশ কোম্পানি আইন সময়োপযোগী করাসহ ব্যবসা সহজী করণের অন্যান্য সূচকেও প্রয়োজনীয় সংস্কার সাধন করেছে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে সুইজারল্যান্ডে রপ্তানি করেছে ১০৬.৮৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য, একই সময়ে আমদানি করেছে ২৭০.৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে বাংলাদেশ ১০৬.৮৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে এবং জুলাই-মার্চ সময়ে আমদানি করেছে ২৪৫.১৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।  আগামী নভেম্বর মাসে বাংলাদেশের সাথে সুইজারল্যান্ডের  বাণিজ্য বৃদ্ধি ও বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে একটি বৈঠক অনুষ্টানে একমত পোষণ করা হয়।

This post has already been read 2871 times!

Check Also

অ্যামচেম এর সাথে বিডার সংলাপ

আমেরিকান চেম্বার অফ কমার্স ইন বাংলাদেশ আজ ( সোমবার ,২১ অক্টোবর) রাজধানীর অভিজাত এক হোটেলে …