মো. জুলফিকার আলী (পাবনা) : কুষ্টিয়া অঞ্চলের কৃষকদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ‘রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে ধানের চারা রোপন। এ যন্ত্র দিয়ে রোপণ করা হচ্ছে ধানের চারা। এতে সাশ্রয় হচ্ছে সময় ও অর্থের, কমছে উৎপাদন খরচ আর অধিক লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। বুধবার (০৯ সেস্টেম্বর) কুষ্টিয়ার মিরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে মিরপুর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের বলিদাপাড়া বক্লের গৌড়দহ গ্রামে কৃষক সুরমান আলীর জমিতে ট্রান্সপ্লান্টারের যন্ত্রের সাহায্যে ধানের চারা (বিআর২৩) রোপণ -২০২০ অনুষ্ঠিত হয়।
আনুষ্ঠানে উপজেলার কৃষি অফিসার কৃষিবিদ কৃষিবিদ রমেশ চন্দ্র ঘোষ সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) লিংকন বিশ্বাস । বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জোয়ার্দ্দার,। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এসএপিপিও মো. ফরহাদ শরীফ ও বারুইপাড়া ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি অফিসার মো. মাহিরুল ইসলাম, মো. গোলাম হোসেন এবং মোছা. জান্নাতুল ফেরদৌস সহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) লিংকন বিশ্বাস কৃষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার কৃষকের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের বিনামূল্যে ধানের চারা, সার, বীজ দিয়ে সহযোগিতা করছে। সরকার কৃষকের উৎপাদন খরচ কমাতে কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ করছে। আর এসব যন্ত্র ক্রয়ে সরকার কৃষককে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করছে। ফলে কৃষক অধিক লাভবান হচ্ছেন।
মিরপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রমেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, আগামীর কৃষি মানেই যন্ত্রনির্ভর কৃষি। যন্ত্রের মাধ্যমে ধানের চারা রোপণের ব্যবস্থা করেছি। এর মূল কারণ হচ্ছে অল্প সময়ে অধিক জমিতে চারা রোপণ করা সম্বব হচ্ছে, উৎপাদন খরচও কমে যাবে, কৃষিক লাভবান হবে।
আরেক কৃষক পল্টু বিশ্বাস বলেন, সনাতন পদ্ধতিতে এক বিঘা (৩৩শতাংশ) জমির ধার রোপন করতে আমাদের ২ হাজার থেকে ২৫শ টাকা খরচ হয়। আর রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের দিয়ে রোপণ করলে মাত্র ৫শ টাকা থেকে ৭টাকা খরচ হয়। মেশিন দিয়ে ধান রোপণ করলে আমাদের উৎপাদন খরচ কম হয়। আমরা অধিক লাভবান হচ্ছি। কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ করতে হলে সরকারকে আরও বেশি সহযোগিতা করার দাবি জানান তিনি।
কৃষিবান্ধব এই যন্ত্রটি অল্প সময়ের মধ্যে বেশি জমিতে ধান রোপণ করা সম্ভব হয়। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাসহ প্রায় শতাধিক কৃষক/কৃষাণী।