ড. শাহানা পারভীন : বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনস্টিটিউট (ব্রি) উদ্ভাবিত জাতসমুহের মধ্যে বেশীরভাগই উচ্চফলনশীল। এছাড়া রয়েছে সুস্বাদু, সুগন্ধীযুক্ত, রপ্তানীযোগ্য, পুষ্টিসমৃদ্ধ ইত্যাদি বিশেষ বৈশিস্ট্যসম্পন্ন ধান। বর্তমানে ব্রি অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে পুষ্টিসমৃদ্ধ এবং রপ্তানীযোগ্য ধানের জাত উদ্ভাবনের দিকে। বেশ কিছু পুষ্টিসমৃদ্ধ এবং রপ্তানীযোগ্য ধানের জাত ইতিমধ্যে উদ্ভাবিত হয়েছে। যেমন- জিংকসমৃদ্ধ, লৌহসমৃদ্ধ, লো-জিআইসম্পন্ন, এন্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ, গাবা ইত্যাদি ধান।
মানব দেহের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের মধ্যে জিংক একটি অত্যবশ্যকীয় গৌণ উপাদান যা দেহের বৃদ্ধি, গঠন ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। দেহের শর্করা ও চর্বির বিপাক ক্রিয়ায় জিংক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। পর্যাপ্ত পরিমানে জিংক গ্রহণ না করলে শিশুদের খর্বাকৃতি ও দূর্বল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া হলে মারাত্বক আকার ধারণ করে, অনেক সময় মৃত্যুও হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, স্বল্প মাত্রার দীর্ঘ সময় ধরে জিংক গ্রহণ অধিক হারে স্বল্প সময়ে জিংক গ্রহণের চেয়ে বে্শী কার্যকরি। ফলে জিংক সমৃদ্ধ চালের ভাত খাওয়ার উপকারিতা বেশী পাওয়া যাবে। ব্রি উদ্ভাবিত ব্রিধান ৬২, ব্রিধান ৬৪, ব্রিধান ৭২, ব্রিধান ৭৪ ও ব্রিধান ৮৪ জিংক সমৃদ্ধ ধান। এ সমস্ত জিংকসমৃদ্ধ ধান গ্রহণে খাদ্য নিরাপত্তা তথা পুষ্টি নিরাপত্তা অনেকটাই নিশ্চিত হবে।
আরেকটি খাদ্য উপাদান হলো লৌহ যা মানব দেহের জন্য প্রয়োজনীয়। ব্রিধান ৮৪ জিংক এবং লৌহ সমৃদ্ধ। বিটা-ক্যারোটিনসমৃদ্ধ ধান হিসেবে গোল্ডেন ধানের গবেষণা অনেক দূর এগিয়ে গেছে। বহুমূত্র রোগী বা ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য লো-জি আইসম্পন্ন ধান হলো ব্রিধান ১৬, ব্রিধান ৪৬ ও ব্রিধান ৬৯। এছাড়া এন্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ ধান বি আর৫, গাবা ও ব্রিধান ৩১ আলঝেইমার রোগীদের জন্য উপযোগী।
ভোক্তা পর্যায়ে এই জাতগুলো জনপ্রিয় করতে বিশেষ বৈশিস্ট্যসম্পন্ন এ সমস্ত ধানের বীজ সহজলভ্য করে কৃষকদের হাতে পৌঁছাতে হবে। মাঠ প্রদর্শণীর মাধ্যমে এর চাষ পদ্ধতি ও উৎপাদন কলাকৌশল শিক্ষা দিলে কৃষকগণ উপকৃত হবে। মাঠ প্রদর্শণীর জন্য প্রান্তিক চাষীদের নিয়োজিত করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। কারণ তারা অন্যত্র কাজ করার চেয়ে নিজ জমিতে কাজ করতে বেশী আগ্রহী। সরকারীভাবে বিভিন্ন সময়ে সার, বীজ, সেচ ইত্যাদির জন্য প্রণোদনা দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধানের বীজেরও প্রণোদনা দিলে কৃষকগণ অধিক উপকৃত হবে আশা রাখি।
পুষ্টিসমৃদ্ধ ধানের চাষ করে যেমন কৃষকগণ নিজেরা উপকৃত হতে পারে তেমনি অর্থনৈতিকভাবেও লাভবান হতে পারে। এ জন্য প্রয়োজন সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা। অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য এ সমস্ত ধানের বাজারজাত প্রক্রিয়া নির্দিষ্ট ব্রান্ডিংয়ের মাধ্যমে এবং বিজ্ঞানসম্মতভাবে করতে হবে। উদাহরনস্বরূপ চীন দেশে ধানের ব্রান্ডিং কৌশল অনুসরন করে চাইনিজ চালকে উচ্চ মূল্যের পণ্য হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। এই উচ্চ মূল্যের চাল মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত উভয় শ্রেণীর লোকদেরকে আকৃষ্ট করে।
সচরাচর ব্যবহৃত চালের পরিবর্তে পুষ্টিসমৃদ্ধ চাল গ্রহণে উৎসাহিত করা এবং এই চালের খাদ্যগুণ, স্বাস্থ্য, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সুবিধাসমূহ সম্বন্ধে সচেতনতা বাড়ানো উদ্যোক্তা কৌশলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া এই চাল দিয়ে কি কি ধরনের খাবার প্রস্তুত করা যেতে পারে সে সম্বন্ধে ভোক্তাদেরকে সচেতন করাটাও জরুরী। রেডিও, টিভিতে অনুষ্ঠানমালা, আকর্ষণীয় গান, বিজ্ঞাপণ ইত্যাদি তৈরির মাধ্যমে ভোক্তাদের মনোযোগ আকর্ষণ করা যেতে পারে। খাদ্য সরবরাহকারী স্কুলগুলোতে প্রচলিত রন্ধনশিল্পীর সাথে শেফ এর রান্নার প্রতিযোগীতার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। পুরষ্কার হিসেবে পুষ্টিসমৃদ্ধ চাল সুন্দর প্যাকেটে, ব্রান্ডের মাধ্যমে দেয়া যেতে পারে। ছাপানো টি শার্ট, ক্যাপ, কলম এবং সিডি (যেখানে পুষ্টিসমৃদ্ধ চালের রেসিপি এবং সুবিধাসমুহ সংরক্ষিত থাকবে) সরবরাহ করা যেতে পারে।
তারপরেও কিছু কিছু কৌশল অবলম্বন করা কঠিন হয়ে পড়ে যেমন সমগ্র দেশজুড়ে চাল উৎপাদনকারীর সাথে বাজারের সম্পর্ক গড়ে তোলা, স্থানীয়ভাবে চাল সংগ্রহ কেন্দ্র স্থাপন করা, খাদ্য প্রদর্শনের জন্য উপযুক্ত পরিবার বাছাই করা, স্কুল, হাসপাতাল, জেলখানা ইত্যাদির খাবারের ম্যানুতে পছন্দের চাল সরবরাহ নিশ্চিত করা, প্রয়োজন অনুযায়ী চাল সারা বছর সরবরাহ নিশ্চিত করা ইত্যাদি।
পুষ্টিসমৃদ্ধ চালের বাজার এবং প্রোমোশনাল প্লান তৈরি করতে বাজার এবং ভোক্তা বিষয়ক জ্ঞান মূল উপাদান হিসাবে বিবেচিত হয়। পুষ্টিসমৃদ্ধ চালের বাজার এবং প্রোমোশনাল প্লান তৈরির উদ্দেশ্য হলো পুষ্টিসমৃদ্ধ চালের উৎপাদন বাড়ানো, মার্কেটে সহজলভ্যতা বাড়ানো, দেশের সব অঞ্চলে চাহিদা বাড়ানো, ক্যাটারিং এবং পাবলিক ইনস্টিটিউশন যেমন স্কুল, হাসপাতাল, জেলখানা ইত্যাদির ম্যান্যুতে পুষ্টিসমৃদ্ধ চাল রাখা ইত্যাদি। লুকানো ক্ষুধা অর্থাৎ অপুষ্টি থেকে জনগণকে রক্ষা করার জন্য পুষ্টিসমৃদ্ধ চালের বাজার তৈরি করতে হবে।
দক্ষিণ আফ্রিকার দেশ ঘানাতে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত অর্গানিক ধানের পরিমাণ অপ্রতুল ছিল। ফলে সরকারীভাবে প্রচুর চাল আমদানী করতে হতো। উৎপাদনের মাত্র ২০% চাল শহর এলাকার লোকজন খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করতো। কারণ শহর এলাকার লোকজনের আমদানীকৃত চালের প্রতি আর্কষণ ছিল। ফলে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত অর্গানিক ধানের কৃষকগণ চাল বিক্রি করতে সমস্যায় পরতো। এই সমস্যা দূরীকরণের জন্য সরকার একটি আপস্কেলিং প্রোগ্রাম হাতে নেয় যার মাধ্যমে স্থানীয় ভাবে উৎপাদিত অর্গানিক ধানের উৎপাদন এবং ভক্ষণ বাড়ানো যাবে। ফলশ্রুতিতে দেশ খাদ্যে সয়ংসম্পুর্ণ হবে। এজন্য তারা চাল বাণিজ্যের মূল চাবিকাঠি এবং ভোক্তার পছন্দের বিষয়টি বিষদভাবে বিশ্লেষণ করেছে যাতে স্থানীয় ভাবে উৎপাদিত অর্গানিক ধানের চাল বাণিজ্যকে জোরপূর্বক নির্দশনা দিতে পারে এবং পাশাপাশি এই চালের উৎপাদন, ব্যবহার ও গ্রহণকে নিশ্চিত করতে পারে। ফলে কৃষকগণের আয় বাড়ানো এবং খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে। পুষ্টিসমৃদ্ধ চালের বাজার তৈরি করতে আমরা এ ধরনের কার্যক্রম হাতে নিতে পারি।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অন্যান্য পণ্যের ন্যায় চালের ব্রান্ডিং এর উপর খুব একটা গবেষণা হয়নি। বেশিরভাগ গবেষণা হয়েছে ভোক্তার সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার উপর। অতীত গবেষণা থেকে দেখা যায়, ভোক্তার গুরুত্বপূর্ণ বৈশিস্ট্য হলো, ভোক্তাগণ পণ্য ক্রয়ের ব্যাপারে বিবেচনা করে প্রথমতঃ কতটা নিরাপদ, স্বাদ কি রকম, চালের আকৃতি কেমন, ধানের আকার কি রকম, দাম কত এবং কি ব্রান্ডের। চাহিদা অনুযায়ি গূণগত মানসম্পন্ন হলে উচ্চমূল্য দিতে তারা কার্পণ্য করে না।
চালের ব্রান্ডিং একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ভোক্তারা বাজারে প্রচলিত পণ্যগুলোর সাথে তুলনা করে। ফলে তারা পণ্যসমূহের মধ্যে পার্থক্যসমুহ স্বীকৃত ও নির্দিষ্ট করে। বর্তমানে চাল উৎপাদনকারী ও ভোক্তা উভয়ের জন্যই চালের ব্রান্ডিং করাটা অতীব জরুরী। চাল উৎপাদনকারীর ক্ষেত্রে, চালের উদারনীতি ও এর বন্টন চালের মূল্য কমিয়ে দেয় পক্ষান্তরে চালের ব্রান্ডিং এর মূল্য বাড়িয়ে দেয়। যাহোক, ভোক্তার জন্যও চালের ব্রান্ডিং এর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। প্রথমতঃ ক্ষুধা নিবারনের জন্য ভোক্তার চালের প্রয়োজন। কিন্তু বর্তমানে ভোক্তার আরো কিছু প্রয়োজন যেমন চালের কার্যকারিতা, নিরাপত্তা এবং গুণাগুণের ভিন্নতা ইত্যাদি। একদিকে চাল উৎপাদনকারী ও অপরপক্ষে ভোক্তা উভয়ের জন্য চালের গূণাগূণ বিশ্লেষণের জন্য ব্রান্ডিং এর প্রয়োজন। কৃষকের আয় এবং খাদ্য ও পুষ্টির নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের নীতিমালা নির্ধারনের ক্ষেত্রে, বাণিজ্য ও ভোক্তার পছন্দের বিষয় তথা চালের উৎপাদন, ব্যবহার ও গ্রহণ ইত্যাদি বিষদভাবে বিশ্লেষণ করতে হবে। ব্রান্ডিং করে কৃষকদেরকে স্বাবলম্বি হিসেবে গড়ে তোলা যেতে পারে। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে একইভাবে ব্রান্ডিংএর মাধ্যমে ধানকে রপ্তাণিযোগ্য পণ্যে পরিণত করেছে।
বাংলাদেশে বর্তমানে ২০১৯-২০ অর্থবছরে চালের উৎপাদন প্রায় ৩৮ দশমিক ৭০ মিলিয়ন টন। এর মধ্যে পুষ্টিসমৃদ্ধ চাল কতটুকু তা নির্ধারণ করতে হবে। ব্রি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান উৎপাদন করে কিন্তু পুষ্টিসমৃদ্ধ চাল উৎপাদনের জন্য ব্রান্ডিং প্রয়োজন। পুষ্টিসম্রদ্ধ ধান থেকে পুষ্টিসমৃদ্ধ চালের রুপান্তর প্রক্রিয়া নির্দিষ্ট করতে হবে। মিলিংয়ের মাধ্যমে চালের পুষ্টিগুণ সর্ব্বোচ্চ সংরক্ষণের জন্য কোন প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে হবে তা স্থির করতে হবে। রান্নার রেসিপি নির্দিষ্ট করতে হবে। সমস্ত তথ্য দৃস্টিনন্দন প্যাকেজিংয়ের মাধ্যমে ব্রান্ডিং প্রক্রিয়ায় জনগণের জন্য উন্মুক্ত করা হলে একদিকে ভোক্তার অধিকার সংরক্ষিত হবে অন্যদিকে কৃষকগণ কাঙ্খিত মূল্যের বিনিময়ে আর্থিকভাবে লাভবান হবে।
বাংলাদেশে এখনও ব্রি উদ্ভাবিত পুষ্টিসমৃদ্ধ কোনো ধান তথা চাল এর ব্রান্ডিং হয়নি। এক্ষেত্রে আমরা প্রোটোটাইপ ব্রান্ডিং উন্নয়নের উপর গবেষণালব্ধ ফলাফল লক্ষ্য করতে পারি। থাইল্যান্ডে প্রান্তিক চাষীদের উৎপাদিত চালের টেকসই করণের জন্য প্রোটোটাইপ ব্রান্ডিং উন্নয়নের উপর গবেষণা কাজ হয়েছে। গবেষণা থেকে কিছু নির্দশনা চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রথমতঃ স্ব-উৎপাদিত পণ্যের গুণাগুণ বিশ্লেষন করতে হবে, মার্কেটের অন্যান্য পণ্য থেকে নিজ পণ্যের কোন গুনটি বিশেষ বৈশিষ্ট্যপূর্ণ তা চিহ্নিত করতে হবে, ভোক্তার চাহিদা হোক সেটা কার্যকরী অথবা আবেগীয় তা বুঝতে হবে, সরকারী কোনো শ্লোগান, ধারনা অথবা পলিসি এর সাথে সামন্জস্যপূর্ণ কিনা তা খতিয়ে দেখা যেতে পারে ইত্যাদি। দ্বিতীয়তঃ পণ্যের গূণাগূণের সাথে ভোক্তার আবেগীয় চাহিদার সমন্বয় করে ব্রান্ডের উপাদান সৃস্টি করতে হবে যাতে ভোক্তার মাঝে গ্রহণযোগ্যতা তৈরী হয়। ব্রান্ডের উপাদানের ভিত্তিতে শ্লোগান, লোগো ইত্যাদি ঠিক করতে হবে। বাজার পরিকল্পনা অনুসারে কার্যকলাপ শুরু করতে হবে এবং বাজারের প্রতিক্রিয়া কি হয় তা দেখতে হবে। ব্রান্ডের গুণাগুণ একই মানের রাখতে হবে। প্রান্তিক চাষীদের জন্য সফল চালের ব্রান্ডের ক্ষেত্রে স্মার্ট কৃষক একটি গুরুত্বপুর্ণ ধারনা। বিজ্ঞানসম্মতভাবে উপরোক্ত ধারনাসমূহের সমন্বয় করে একটি সফল চালের ব্রান্ডিং করা যেতে পারে।
সফলতার সাথে দীর্ঘ সময় ধরে একটি ব্যবসা টিকে থাকার জন্য ব্রান্ডিং অন্যান্য অনেক মাধ্যমের মধ্যে অন্যতম। গবেষকরা মনে করেন কৃষকদের যদি শক্তিশালী এবং সমাজবান্ধব চালের ব্রান্ড থাকে তবে অবশ্যই তা বাজারে প্রতিযোগীতা করে টিকে থাকতে পারবে। পরিশেষে বলতে চাই, বাংলাদেশের জনগণের পুষ্টির কথা মাথায় রেখে একটি বিজ্ঞানসম্বত যুগোপযোগী চালের ব্রান্ডিং করাটা জরুরী।
লেখক: উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনস্টিটিউট।