নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ থেকে আম, আনারসসহ বিভিন্ন ফুড আইটেম নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে তুরস্ক। মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা উসমান তুরান কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, এমপির সাথে বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রীর অফিস কক্ষে দেখা করে এ আগ্রহের কথা জানান। সাক্ষাৎকালে দুদেশের কৃষি, প্রাণিসম্পদ, কৃষি যন্ত্রপাতি এবং ফুড প্রসেসিং নিয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়।
কৃষিক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার বিষয়ে ২০১২ সালে বাংলাদেশ ও তুরস্কের মাঝে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছিল। সাক্ষাৎকালে তার আলোকে কৃষি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, বায়োটেকনোলজি, এগ্রো ফুড প্রসেসিং ও প্যাকেজিং, কৃষি যন্ত্রপাতি, বীজ উৎপাদন, জলবায়ু অভিঘাতসহনশীল বিভিন্ন জাত উদ্ভাবন ও গবেষণা প্রভৃতি বিষয়ে দুদেশের পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদারকরণে আগ্রহ পুনব্যক্ত করে দু দেশ।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের নানাবিধ উদ্যোগ এবং কৃষিখাতে প্রণোদনার ফলে কৃষিতে অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। বাংলাদেশ দানাদার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। এখন মূল লক্ষ্য হলো কৃষিকে বাণিজ্যিকীকরণ ও আধুনিকীকরণ করা। সেজন্য কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাজারজাতে বাংলাদেশ সরকার গুরুত্বারোপ করছে। বাংলাদেশ কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতে তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে থাকায় এক্ষেত্রে দুদেশের একসাথে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। এ সময় কৃষিমন্ত্রী এগ্রো প্রসেসিং ও কৃষি যান্ত্রিকীকরণে তুরস্কের সহযোগিতা কামনা করেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, তুরস্কের সাথে বাংলাদেশের গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের এ সম্পর্ক অটুট থাকবে। ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ সকল ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি পাবে।
কৃষিক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা উসমান তুরান বলেন, তুরস্কের অর্থনীতিতে কৃষির গুরুত্ব অপরিসীম। তুরস্ক খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং তুরস্কের ফুড প্রসেসিং ইন্ড্রাস্ট্রি অনেক শক্তিশালী। এ সময় তিনি ফুড প্রসেসিংসহ কৃষিক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে আশ্বাস প্রদান করেন।
তিনি আরো বলেন, টার্কিস কোঅপারেশন অ্যান্ড কোঅর্ডিনেশন এজেন্সি (TIKA) বাংলাদেশকে ফুড প্রসেসিংয়ে সহযোগিতার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করবে। এছাড়া, তুরস্কের বেসরকারি খাতের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদেরকেও দুদেশের পারস্পরিক সহযোগিতার খাত চিহ্নিতকরণ ও কোঅপারেশনের ব্যাপারে সম্পৃক্ত করতে উদ্যোগ নেয়া হবে।