নিজস্ব প্রতিবেদক: “শেখ হাসিনাকে আজ বলা হয় বিশ্বের সেরা সৎ ও পরিশ্রমী প্রধানমন্ত্রী। তিনি দক্ষিণ এশিয়ার প্রবীণতম রাজনৈতিক নেতা। তিনি সেই নেতা, যার কারণে কোভিড-১৯ এর সময়ে দেশে একজন মানুষও না খেয়ে মারা যায়নি। সংকট মোকাবেলায় বিশ্বের মধ্যে শেখ হাসিনা সেরা ব্যবস্থাপক। ৬৭ বছরের ছিট মহল সমস্যা সমাধান করে, সমুদ্রসীমায় বাংলাদেশের আয়তনের প্রায় সমপরিমাণ জায়গায় অধিকার প্রতিষ্ঠা করে শেখ হাসিনা পরিণত হয়েছেন সেরা কূটনীতিকে। তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ৪০টির অধিক সম্মাননা পেয়েছেন।”
বৃহস্পতিবার (০১ অক্টোবর) রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এসব কথা বলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান কাজী হাসান আহমেদ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ আবদুল জব্বার শিকদার, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস্ আফরোজ, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. নাথু রাম সরকার ও মেরিন ফিশারিজ একাডেমির অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন এম এইচ আহমেদ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ্ মোঃ ইমদাদুল হক, সুবোল বোস মনি, শ্যামল চন্দ্র কর্মকার ও মোঃ তৌফিকুল আরিফসহ মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, “সমকালীন বিশ্বে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক ও ক্ষমতায় থাকা আমল একটা স্বর্ণালী অধ্যায়। এ অধ্যায় কেউ কোনদিন স্পর্শ করতে পারবে না। বাঙালী জাতির পরিত্রাণদাত্রী শেখ হাসিনা। তিনি শাসক হিসেবে আদর্শ, রাজনীতিক হিসেবে আদর্শ। আওয়ামী লীগের সভানেত্রী এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পরিচয় অতিক্রম করে তিনি অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে গেছেন। শেখ হাসিনার আমল ইতিহাসের অনন্য অধ্যায় হিসেবে সূচিত।”
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, “শেখ হাসিনা ফিরে না এলে ইতিহাসের স্বপ্ন ভঙ্গ হতো। কারণ শেখ হাসিনা ফিরে আসার পর ইতিহাস পরিচ্ছন্নভাবে বিকশিত হওয়া শুরু করেছে। রক্তে যার বঙ্গবন্ধুর আদর্শের উত্তরাধিকার তাকে পরাভব মানানো যায়না। দেশে ফিরে দেশবাসীর উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, আমি ফিরে এসেছি বাংলাদেশের সকল মানুষের আকাঙ্খাকে পরিপূর্ণ করার জন্য। আমার ব্যক্তিগত কিছু চাওয়া-পাওয়ার নেই।”
প্রধান অতিথি বলেন, “শেখ হাসিনা তলাবিহীন ঝুঁড়ির বাংলাদেশকে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসায় উন্নত বাংলাদেশে পরিণত করেছেন। অধঃপতিত, পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়া রাষ্ট্রকে তিনি উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন। এজন্য তাকে বলা হয় উন্নয়নের ম্যাজিশিয়ান।”
শ ম রেজাউল করিম বলেন, “এদেশটা অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছিলো। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের সুরক্ষা দেয়া হয়েছিলো এ দেশে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশে আবার পূর্ব পাকিস্তান কায়েম করা হয়েছিলো। শেখ হাসিনা ফিরে এসে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে ফিরিয়ে এনেছেন। কলঙ্কিত অধ্যায়ের অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশকে আজ উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশের কাতারে নিয়ে এসেছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড, জেলখানায় জাতীয় চার নেতা হত্যা, বিডিআর হত্যাকান্ড, বিশ্বজিৎ হত্যাকান্ডসহ বিভিন্ন হত্যাকান্ডের বিচারের মাধ্যমে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন। গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করে তিনি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছেন।”
মন্ত্রী আরো বলেন, “শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতিচ্ছবি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কেন্দ্রিকতা। অসাম্প্রদায়িকতার নিউক্লিয়াস। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসায় সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার শেষ আশ্রয়স্থল তিনি। একারণে আমাদের শ্রদ্ধায়, ভালোবাসায়, বিনম্রতায়, কাজের মধ্যে সবসময় তাকে স্মরণ করতে হবে।”
আলোচনা সভার শুরুতে শেখ হাসিনার জীবন ও কর্ম নিয়ে একটি প্রাম্যাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয় এবং শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মঙ্গল কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।