বৃহস্পতিবার , ডিসেম্বর ১৯ ২০২৪

উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে রপ্তানি বাজার সম্প্রসারনের আহবান শিল্প প্রতিমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক: উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে রপ্তানি বাজার সম্প্রসারনের আহবান জানিয়েছেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। তিনি বলেন, রপ্তানি আয় বৃদ্ধির জন্য পোশাক শিল্পের পাশাপাশি অন্যান্য সম্ভাবনাময় খাতের প্রতি মনোযোগ আরও বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।

জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস ২০২০ উদযাপন উপলক্ষ্যে আনলাইন মাধ্যমে ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) কর্তৃক আয়োজিত “জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে উৎপাদনশীলতা” শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শিল্প প্রতিমন্ত্রী আজ (শুক্রবার, ২ অক্টোবর) এ কথা বলেন। শিল্প সচিব কে এম আলী আজমের সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত সচিব লুৎফুন নাহার বেগম। ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশনের (এনপিও) পরিচালক নিশ্চিন্ত কুমার পোদ্দার অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, উন্নত দেশগুলোর মতো বাংলাদেশেও উৎপাদনশীলতার সংস্কৃতি চর্চা জোরদার হবে। তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে শক্তিশালী করতে চলতি ২০২০-‘২১ অর্থবছরে ৮ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্য অর্জনে শিল্প খাতের অবদান বৃদ্ধির জন্য সামগ্রিক শিল্পখাতকে প্রয়োজনীয় সকল ধরণের সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখার জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার সকলকে শিল্প প্রতিমন্ত্রী নির্দেশনা প্রদান করেন ।

প্রতিমন্ত্রী উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিল্প কারখানার পরিবেশ সুরক্ষার পাশাপাশি শ্রমিকের নিরাপত্তা, কর্মপরিবেশ উন্নয়ন, স্বাস্থ্য ঝুঁকি মোকাবেলা, অপচয়রোধ ও কাঁচামালের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে জ্ঞানভিত্তিক শিল্পায়নের অভিযাত্রা জোরদার করার জন্য মালিক-শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানান।

বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় অতিরিক্ত সচিব লুৎফুন নাহার বেগম বলেন, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পেলে শ্রমিক, মালিক, সরকার সবাই লাভবান হয়। তিনি বলেন, শুধু শ্রমের মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা সম্ভব নয়, আধুনিক প্রযুক্তিভিত্তিক  পরিবেশবান্ধব উচ্চ উৎপাদনশীল শিল্প ব্যবস্থাপনার চর্চা করা প্রয়োজন।

ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশনের পরিচালক নিশ্চিন্ত কুমার পোদ্দার বলেন, এশিয়ান প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশনের তথ্য অনুযায়ী ২০১০ সালের পর থেকে বাংলাদেশের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশব্যাপী উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশনের উদ্যোগে ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি মাস্টারপ্ল্যান ২০২০-২০৩০ প্রণয়ন করা হয়েছে।

সভাপতির বক্তৃতায় শিল্প সচিব বলেন, সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হলে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির কোন বিকল্প নেই। উচ্চ উৎপাদনশীলতায় এগিয়ে থাকা দেশ সিঙ্গাপুরের প্রসংগ উল্লেখ করে শিল্প সচিব বলেন, সিঙ্গাপুর কোন কৌশল ও কার্যপদ্ধতি কাজে লাগিয়ে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করেছে সেটি আমাদের আয়ত্ত করতে হবে এবং সেগুলোকে দেশে প্রয়োগ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস ২০২০ উদযাপন উপলক্ষ্যে “জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে উৎপাদনশীলতা” শীর্ষক স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

This post has already been read 3066 times!

Check Also

মালদ্বীপের সাথে শীঘ্রই বাংলাদেশের সরাসরি জাহাজ চলাচল শুরু হবে- নৌপরিবহন উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক: নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন …