নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): ধানের উৎপাদন বাড়াতে দরকার জাতের পরিবর্তন। পুরোনোগুলো বাদ দিয়ে অধিক উৎপাদনশীল জাত ব্যবহার করতে হবে। তাহলেই আশানুরূপ ফলন পাওয়া সম্ভব। বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থা করোনা পরবর্তী পৃথিবীতে খাদ্যাভাবের আশঙ্কা করেছে। তবে বাংলাদেশে খাবারের কোনো অভাব হবে না ইনশা-আল্লাহ। ইতোমধ্যে আউশে বাম্পার ফলন হয়েছে। বন্যায় আমনের কিছুটা ক্ষতি হলেও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও বোরোতে হাইব্রিড বীজের ব্যবহার বাড়িয়ে তা পুষিয়ে নেওয়া যাবে।
”বরিশাল অঞ্চলে চলমান রোপা আমন আবাদ পরিস্থিতি এবং আগামী বোরো ও রবি মওসুমে করণীয়” শীর্ষক দিনব্যাপি কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) -এর আয়োজনে আজ শনিবার (৩ অক্টোবর) ব্রি সম্মেলনকক্ষে উক্ত কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রি মহাপরিচালক ড. মো. শাহাজাহান কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. হারুনর রশীদ। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আফতাব উদ্দিন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্রি বরিশালের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলমগীর হোসেন।
ঊধর্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মীর মনিরুজ্জামান কবীরের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কৃষি প্রশিক্ষণ ইনিস্টিটিউটের অধ্যক্ষ গোলাম মো. ইদ্দ্রিস, আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রফি উদ্দিন, ডিএই বরিশালের উপপরিচালক তাওফিকুল আলম, ভোলার উপপরিচালক হরলাল মধু, বরগুনার উপপরিচালক মো. আব্দুল অদুদ খান, আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপপরিচালক ড. মো. নজরুল ইসলাম শিকদার, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের যুগ্ম পরিচালক ড. মো. মিজানুর রহমান, ভাসমান কৃষি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার, পবিপ্রবির প্রফেসর ড. মো. শামিম মিয়া, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনিস্টিটিউটের ঊধর্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. বাবুল আক্তার, পটুয়াখালী সদরের উপজেলা কৃষি অফিসার মার্জিন আরা মুক্তা প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সরাসরি ও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শতাধিক কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।