নিজস্ব প্রতিবেদক: কিছু কিছু মিলার ধানের অবৈধ মজুদ করে রেখেছে। ইতিমধ্যেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কিছু কিছু জায়গায় এই সমস্ত মজুদকৃত ধান বাজেয়াপ্ত করেছে এবং তাদের বিভিন্ন জরিমানা করা হয়েছে। গত সপ্তাহে মিটিং করে চালের মূল্য নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। এখন বাজারে মনিটরিং করে খুচরা মূল্য নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে জানান। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে এবার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ভিজিএফ এর আওতায় দেশের ১০০টি উপজেলায় পুষ্টি চাল বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
শনিবার (৩ অক্টোবর)বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী পরিষদ এবং বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা কৃষিবিদ পরিষদ এর যৌথ উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি হলরুমে অনুষ্ঠিত ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘পুষ্টিসম্মত ও নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা প্রদানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গিকার, দেশের সকল অনাবাদি জমিতে করতে হবে ফসল চাষাবাদ এবং জননেত্রী শেখ হাসিনা সম্মাননা পদক ২০২০’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সেদিন বেঁচে ছিলেন বলেই আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করতে পেরেছিলেন এবং তার সঠিক নেতৃত্বেই দেশের প্রতিটি সেক্টরে আজ উন্নয়নের জোয়ার বইছে । তার নেতৃত্বেই দেশ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হবে।
মন্ত্রী বলেন, এই করনাকালীন সময়েও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনা সরকার আছে বলেই এই করোনাকালীন সময়েও দেশের একটি মানুষও না খেয়ে মারা যায়নি। যদি তিনি না থাকতেন তাহলে মাত্র কয়েক হাজার নয়, লাখ লাখ মানুষ এই করোনাকালীন সময়ে মারা যেত। এই covid-19 এর সময়েও দেশে খাদ্যের অভাব হয়নি, দেশে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ আছে।
উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা যাতে ক্ষমতায় থাকতে না পারে এজন্য তার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। তাই আমাদের সকলকে সচেতন থাকতে হবে এবং সেই অনুযায়ী কর্মকান্ড পরিচালনা করতে হবে। এখন দেশ গড়ার সময় এবং মানুষকে সেবা করার সময়। তাই সেবার মানসিকতা নিয়ে তিনি সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
তিনি আরো বলেন, কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। একটা সময় কৃষক তার ফসলের ন্যায্যমূল্য পায়নি, ফলে কৃষক ধান উৎপাদন থেকে বিমুখ হয়ে পড়েছিল। সেখান থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঠিক দিকনির্দেশনায় কাজ করতে পেরেছি বলেই কৃষকের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত হয়েছে, এবার কৃষক ফসলের ন্যায্য মূল্য পেয়েছে।
ভেজাল খাদ্যের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, একজন মানুষ কম করে হলেও প্রতিদিন ১২থেকে ১৫ রকমের দ্রব্য ক্রয় করে। একজন ভেজালকারী একটি পণ্য ভেজাল দিয়ে লাভবান হয়। কিন্তু তিনি অন্য আরো অনেক ভেজাল পণ্য ক্রয় করে প্রতারিত হন। তাই ভেজাল এর মাধ্যমে সবাই সবাইকে প্রতারিত করছে।
তিনি সবাইকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে গড়ে তুলতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।