নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আমদানি করা পেঁয়াজ দেশে পৌঁছাতে শুরু করেছে। দেশীয় পেঁয়াজের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। উৎপাদনকারী কৃষকরা এ সকল পেঁয়াজ বাজারে বিক্রয় বৃদ্ধি করেছেন। ফলে পেঁয়াজের আমদানি ও সরবরাহ বেড়েছে। দেশে পেঁয়াজের কোন ঘাটতি নেই। আমদানিকৃত পেঁয়াজ পুরোপুরি বাজারে আসলে মূল্য আরও কমে আসবে। পেঁয়াজ নিয়ে আতংকিত হবার কারণ নেই। পেঁয়াজের অবৈধ মজুত বা কৃত্তিম সংকট সৃষ্টি করে মূল্য বৃদ্ধির চেষ্টা করা হলে সরকার প্রচলিত আইনে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের দাবী, ক্রেতাদের সাশ্রয়ী মূল্যে পেঁয়াজ সরবরাহের উদ্দেশ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশ(টিসিবি) দেশব্যাপী ট্রাক সেলের পাশাপাশি ই-কমার্সের মাধ্যমেও পেঁয়াজ বিক্রয় করছে। এতে ক্রেতাদের ব্যাপক সারা পাওয়া যাচ্ছে। ক্রেতাদের চাহিদা পূরণে প্রতি কেজি ৩০ টাকা মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রয়ের পরিধি আরও বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
চাহিদা মোতাবেক বাজারে পেঁয়াজের মজুত, সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রাখতে গত বছরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরসহ দেশব্যাপী স্থানীয় প্রশাসনের নেতৃত্বে বাজার অভিযান জোরদার করা হয়েছে। সরকার পেঁয়াজ আমদানির উপর শুল্ক প্রত্যাহার করেছে। আমদানিকারকদের চাহিদা মোতাবেক সবধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। অভ্যন্তরীন বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ, পরিবহনসহ সকল ক্ষেত্রে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। সরকারের নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে বাজারে এর ইতিবাচক প্রভাব পরেছে। বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে বিপুল পরিমান পেঁয়াজ দেশে পৌছাবে।