নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): পানের পোকামাকড় সনাক্তকরণ ও সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদন প্রযুক্তির ওপর মাঠ দিবস বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বরিশালের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন গবেষণাপ্রতিষ্ঠানের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রফি উদ্দিন। কৃষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, পান একটি অর্থকরী ফসল। তাই রপ্তানির জন্য এর উৎপাদন ব্যবস্থা নিরাপদ হওয়া চাই। এ বিষয়ে নিজে সচেতন হতে হবে। অপরকেও করতে হবে উৎসাহিত।
বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে চাষকৃত গুরুত্বপূর্ণ ফল, পান, সুপারি ও ডাল ফসলের পোকামাকড় সনাক্তকরণ ও সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও বিস্তার কর্মসূচি আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভাসমান কৃষির প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন বারির প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. গোলাম কিবরিয়া।
গেস্ট অব অনার হিসেবে ছিলেন আয়োজক প্রতিষ্ঠানের কর্মসূচি পরিচালক ড. মো. মাহবুবুর রহমান। বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বারির প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলিমুর রহমান, উপজেলা কৃষি অফিসার মো. তৌহিদ, উজিরপুরের পানচাষি মোজাম্মেল হক সিকদার প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বিএআরআই’র ঊধর্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আনওয়ারুল মোনিম, এসএসও মো. রফিকুল ইসলাম, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রাজি উদ্দিন, এসও মো. মাহবুবুর রহমান, শর্মীলা দাস সেতু এবং কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিক অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন। মাঠ দিবসে গৌরনদী, উজিরপুর এবং বানারিপাড়ার ৮০ জন কৃষাণ-কৃষাণী অংশগ্রহণ করেন।