নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রতিবারের মতো এ বছরও (আগামীকাল শুক্রবার, ৯ অক্টোবর) পালিত হবে ২৫তম বিশ্ব ডিম দিবস। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাযোগ্য উৎসাহ উদ্দীপনার মাধ্যমে দিবসটি পালন করা হবে। করোনা মহামারির কারণে এবার র্যালী ও জনসম্পৃক্ততা-নির্ভর অনুষ্ঠানগুলো বাদ দেয়া হয়েছে। “প্রতিদিন ডিম খাই, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াই” স্লোগানে এ বছরই প্রথমবারের মতো অনলাইনে দেশের পোলট্রি সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো দিবসটি পালন করবে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর (ডিএলএস), বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাষ্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) এবং ওয়ার্ল্ড’স পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন-বাংলাদেশ শাখা (ওয়াপসা-বিবি) যৌথভাবে অনলাইন প্লাটফর্ম জুম ও ফেসবুকের মাধ্যমে দিবসটি পালন করবেন।
অনলাইন প্লাটফর্মে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, এম পি; বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ; সম্মাননীয় অতিথি প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. নাথু রাম সরকার; এবং সভাপতি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবদুল জব্বার শিকদার।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করবেন বিপিআইসিসি’র সভাপতি মসিউর রহমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোল্ট্রি সায়েন্স বিভাগের প্রফেসর ড. শওকত আলী ও বিভাগীয় চেয়ারপারসন প্রফেসর ড. ইলিয়াস হোসেন; পর্যালোচনায় থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. খালেদা ইসলাম। সারাদেশের পোল্ট্রি খামারি, জেলা ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাংবাদিকসহ সহস্রাধিক অডিয়েন্সের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। অনুষ্ঠানটি একই সাথে Zoom Cloud Conference System এবং Facebook Live Streaming এর মাধ্যমে সম্প্রচার করা হবে।
তবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দেশের ৫০টি স্পটে শুক্রবার (৯ অক্টোবর) ডিম বিতরণ করা হবে। এর মধ্যে আছে ৩০টি বস্তি ও নিম্নআয়ের মানুষ বসবাস করে এমন এলাকা এবং ২০টি এতিমখানা।
শুক্রবার, ৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য Zoom Cloud Conference এর বিস্তারিত:
Zoom Meeting LINK
https://us02web.zoom.us/j/7935866907
Meeting ID : 793 586 6907
Date: 9 October 2020, Time: 10 am – 11.30 am
উল্লেখ্য, প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ, স্বাস্থ্যবান ও মেধাবী জাতি গঠন, সর্বোপরি ডিমের গুণাগুন সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ১৯৯৬ সাল থেকে এ দিবসটি বিশ্ব জুড়ে একযোগে পালিত হয়ে আসছে।