নিজস্ব প্রতিবেদক: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বাস্তবায়নাধীন প্রতিবেশগত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সেন্টমার্টিন দ্বীপের জীববৈচিত্রের উন্নয়ন, ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণে বিশেষ কর্মসূচি সফল করতে জনগণের সহযোগিতা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে নারিকেল, পাইন, কেওড়া, কেয়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপণ, ছেড়া দ্বীপের প্রবাল ধ্বংস প্রতিরোধ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ সকল বিষয়ে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে। এ সকল বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।
আজ বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) মন্ত্রণালয়ের ২০২০-‘২১ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি)র মাসিক বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্য আয়োজিত অনলাইন সভায় বাংলাদেশ সচিবালয়স্থ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষ থেকে যুক্ত হয়ে সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, গাজীপুর এর এপ্রোচ সড়ক প্রশস্তকরণ ও অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, শেখ রাসেল এভিয়ারি এন্ড ইকোপার্ক, রাঙ্গুনিয়া, চট্টগ্রাম (২য় পর্যায়) প্রকল্প, টেকসই বন ও জীবিকা(সুফল) প্রকল্পসহ মন্ত্রণালয়ের সকল প্রকল্প যথাসময়ে যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশনা প্রদান করেন। এক্ষেত্রে সরেজমিনে পরিদর্শন করে বাস্তব অগ্রগতি পর্যালোচনা পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রকল্প পরিচালকদের প্রতি আহবান জানান।
সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান এনডিসি, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ড. মো. বিল্লাল হোসেন, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) মাহমুদ হাসান, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) আহমদ শামীম আল রাজী, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মিজানুল হক চৌধুরী ও পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এ,কে,এম রফিক আহাম্মদ, বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক (চলতি দায়িত্ব) মো. আমির হোসেন চৌধুরীসহ দপ্তর প্রধানগণ ও বিভিন্ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকগণ অংশগ্রহণ করেন।