মো. দেলোয়ার হোসেন (টিপি) : নওগাঁর বদলগাছী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে উপজেলার আধাইপুর ইউনিয়নের আধাইপুর ব্লকের আধাইপুর গ্রামে ব্রিধান-৭১ জাতের রোপা আমন ধানের শস্য কর্তন গত ২৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয়।
রোপা আমন ধানের শস্য কর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ মো. শাসছুল ওয়াদুদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বদলগাছী উপজেলা কৃষি অফিসের উপ সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষন কর্মকর্তা এম এম জহির রায়হান ও উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এস এম এ রশিদুল্লা। শস্য কর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বদলগাছী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. হাসান আলী।
কৃষক মো. সোহেল রানার জমিতে ব্রিধান-৭১ জাতের শস্য কর্তনে ২০ বর্গমিটার মাপের জমিতে রোপা আমন ধান কর্তন করা হয়। কর্তন শেষে মাড়াই-ঝাড়াই করে শুকনা ফলন ধানে হেক্টরে ৫.৪ মেট্রিক টন পাওয়া যায়।
ধান কর্তন শেষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, নওগাঁর বদলগাছী উপজেলা হচ্ছে ধান উৎপাদনের জন্য উন্নতম এলাকা। রোপা আমনের ব্রি ধান-৭১ জাতের ধান চাষ করে ভাল ফলন পাওয়া যায়। আবার এই ধান কর্তন করে গম, আলু বা সরিষা ভাল ভাবে চাষ করা যায়। তাই স্বল্প মেয়াদী ব্রি ধান-৭১ জাতের ধান চাষ করে যেমন অধিক ফলন পাওয়া যায় এবং পাশাপাশি গম, আলু , সবজি ফসল বা তেল ফসল ভালভাবে চাষ করা যায়। তাই ব্রি ধান-৭১ জাতের ধান ভাল ফলন হওয়ায় দেশের খাদ্য চাহিদা পূরুনে অগ্রনী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বিগত কয়েক বছর যাবৎ বদলগাছী উপজেলা খাদ্য উদ্বৃত্ত এলাকা হিসাবে পরিগণিত হয়ে আসছে। তিনি উপস্থিত কৃষকভাইদের আগামীতে ধান উৎপাদনের পাশাপাশি গম, আলু, পিয়াজ, ভুট্টা, ডাল, তেল, বিভিন্ন শাক-সবজি চাষের অনুরোধ জানান।
ধান কর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতি তাঁর সমাপনী বক্তব্যে বলেন, শস্য কর্তনের মাধ্যমে ফসলের ফলন সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়া যায়। তাই রোপা আমন ধান কর্তনের মাধ্যমে ধান চাষের ভুলক্রটি সংশোধন করে নেয়া সম্ভব হয়। তিনি আরো বলেন, উপজেলায় এ বছর রোপা আমন ধানের যে পরিমান আবাদ হয়েছে তা যদি রোগবালাই বা কোন প্রাকৃতিক বিপর্যয় না হয় তাহলে রোপা আমন ধানের ভাল ফলন পাওয়া সম্ভব হবে যা দেশের খাদ্য চাহিদা পুরুনে অগ্রনী ভূমিকা রাখবে। তিনি উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে কৃষকদের সর্বাত্বক সহযোগীতার আশ্বাস প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে কৃষি অফিসের কর্মকর্ত-কর্মচারীসহ প্রায় ৫০ জন আদর্শ কৃষক উপস্থিত ছিলেন।