সিলেট: ‘ধানের ফলন ও উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হলে নতুন জাত ও প্রযুক্তি দ্রুত সম্প্রসারণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে উপজেলা পর্যায়ে কর্মরত কৃষি কর্মকর্তাদের অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। বিএডিসি-কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের লিংকেজ আরো জোরদার করতে হবে।’
আজ শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) সিলেটের হোটেল মেট্রো ইন্টারন্যাশনাল মিলনায়তনে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, হবিগঞ্জ কার্যালয়ের উদ্যোগে এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেট এর সহযোগিতায় “সিলেট অঞ্চলে বোরো ধানের ফলন বৃদ্ধিতে করণীয়” বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মেসবাহুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
কৃষি সচিব বলেন, বর্তমান খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করার জন্য সরকার হাইব্রিড ও ইনব্রিড ধানের বীজ প্রয়োজনে বিনামুল্যে বিতরণ করবে। এ বছর বোরো বীজে সরকার কেজি প্রতি ১০ টাকা হারে ভর্তুকি দিচ্ছে। এসব বীজ সুষ্ঠভাবে বিপণন ও বিতরণ করতে হবে। সিলেট অঞ্চলের পতিত জমিগুলো চাষাবাদের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। বীজ ও সারে সরকার যে ভর্তুকি দিচ্ছে তা কাজে লাগিয়ে ফলন বাড়ানোর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য তিনি অংশগ্রহণকারী জেলা ও উপজেলা পয়ায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানান। করোনাকালে ধান কাটায় কৃষি কর্মকর্তাদের তৎপরতার জন্য তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তাঁর মতে করোনা মহামারী সত্ত্বেও কৃষির সাফল্য আমাদের বড় সাপোর্ট দিয়েছে।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন – ড. মোঃ মোস্তফা কামাল, প্রধান, ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয় হবিগঞ্জ। কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডে. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, নির্বাহী চেয়ারম্যান, বিএআরসি, এবং কৃষিবিদ ড. মোঃ আসাদুল্লাহ, মহাপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এবং ড. কৃষ্ণ পদ হালদার, পরিচালক (প্রশাসন ও সাধারণ পরিচর্যা), ব্রি।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর পক্ষ থেকে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন- ড. খন্দকার মোঃ ইফতেখারুদৌলা, মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং প্রধান, উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ, ব্রি। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর পক্ষ থেকে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কৃষিবিদ মজুমদার মোঃ ইলিয়াস,ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, সিলেট অঞ্চল।
কর্মশালায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সিলেট অঞ্চলের উপ-পরিচালকগণ, অতিরিক্ত উপ-পরিচালকগণ, জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সীর জেলা বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তাবৃন্দ, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন এর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বিনা, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, পানি উন্নয়ন বোর্ড এর বিভিন্ন পর্যায়ের বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাগণ, কর্মশালায় অংশ গ্রহণ করেন।