সিকৃবি সংবাদদাতা: সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে গবাদিপশু চারনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমে দু চারটি ভেড়া রাখার বিধান থাকলেও ব্যক্তি স্বার্থে সিকৃবি ক্যাম্পাসকে গো-চারন ভূমিতে পরিণত করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিকৃবির কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারি জানান, সিকৃবির মাইক্রোবায়োলজি ও ইমিউনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. সুলতান আহমদের তত্ত্বাবধানে এই গবাদিপশু ক্যাম্পাসে বিচরণ করছে।
আর এসব গবাদি পশু রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছেন অংকুর দেবনাথ নামক সিকৃবির একজন কর্মচারী। অভিযোগ রয়েছে ক্যাম্পাসে গবাদি পশুর বিচরণ নিষিদ্ধ থাকলেও প্রভাব খাটিয়ে ক্যাম্পাসে গবাদিপশু পালন করা হচ্ছে। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সিকৃবির নিরাপত্তা শাখার কর্মীরা ক্যাম্পাসে গবাদিপশুর বিচরণ ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছেন। প্রায়ই তারা গরু-বাছুর ক্যাম্পাস থেকে ধরে বেধে রাখছেন।
এব্যাপারে জানতে চাইলে অধ্যাপক ড. সুলতান আহমদ জানান, ক্যাম্পাসে তার তত্ত্বাবধানে সিকৃবি কর্তৃপক্ষের গবাদিপশু পালন করা হয়। এসব পশুর মালিক স্বয়ং বিশ্ববিদ্যলয় কর্তৃপক্ষ। এখানে তার ব্যক্তিগত কোন স্বার্থ নেই। কর্তৃপক্ষের শিক্ষা প্রক্রিয়ার প্রয়োজনে ক্যাম্পাসে ১টি ঘোড়া, ৩টি গরু, ৮টি ভেড়া রয়েছে। এগুলো লালন পালনের জন্য নির্দিষ্ট স্থান ও ঘর নির্মান করা আছে। পশুগুলির মালিক সিকৃবি কর্তৃপক্ষ। তিনি শুধু এগুলোর তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে আছেন।
এব্যাপারে সিকৃবির নিরাপত্তা শাখার চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. আব্দুল মালেক জানান, সিকৃবি ক্যাম্পাসে কর্তৃপক্ষের কোন গবাদি পশু নেই। আমরা ক্যাম্পাসে গরুবাছুর পেলে তা আটকে রাখি। গরুবাছুর যাতে ক্যাম্পাসে ঢুকে পরিবেশ নষ্ট করতে না পারে সেজন্য আমরা মাঝে মাঝে অভিযান পরিচালনা করে থাকি। তাছাড়া কর্তৃপক্ষ হউক অথবা ব্যক্তিগত হউক ক্যাম্পাসে গোচারণের কোন বিধান নেই। এটা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এব্যাপারে আমি যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে কিছুদিন পূর্বে ক্যাম্পাসের ভেড়া বাঁচাতে বিষ দিয়ে কুকুর নিধন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠ পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে ক্যাম্পাস থেকে গবাদি পশু অপসারণের দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।