বৃহস্পতিবার , ডিসেম্বর ২৬ ২০২৪

কাঁচামালের লাগামছাড়া দাম বৃদ্ধিতে বিপর্যয়ের মুখে ফিডমিল ও খামারিরা

মো. খোরশেদ আলম জুয়েল: করোনা মহামারির ধাক্কা কিছুটা সামলিয়ে যখন একটু সোজা হয়ে দাড়ানোর চেষ্টা করছে ঠিক তখনি আরেকটি নতুন ধাক্কা এসে লেগেছে দেশের পোলট্রি, মৎস্য তথা সামগ্রিক প্রাণিজ আমিষ উৎপাদনকারী সেক্টরে। বেশ কয়েক মাস ধরে হু হু করে বাড়ছে পোলট্রি ও মৎস্য ফিড তৈরির কাঁচামাল ভুট্টা, সয়ামিল, ফুলফ্যাট সয়াবিন, রাইস পলিস, ডিওআরবি -এর দাম। খামারিদের ‍পুরনো অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে দাম পাচ্ছে না উৎপাদিত ব্রয়লার মুরগির। লোকসানে পিঠ যখন দেয়ালে ঠেকে যাওয়ার উপক্রম তখন নতুন করে ফিডের দাম বাড়ানো হয়েছে। এটি যেন, মরার ওপর খাড়ার ঘা! ফিড মালিকদের অভিযোগ কিচ্ছু করার নেই, এক দু’ টাকা করে বাড়ানোর পরও লোকসান গুনতে হচ্ছে প্রতি কেজি ফিডে। ছোট ও মাঝারি ফিডমিলারদের অবস্থা আরো করুণ বলে জানিয়েছেন, এভাবে চলতে থাকলে অস্তিত্বের সংকটে পড়তে হবে বলে দাবী করেছেন তাঁরা। অন্যদিকে, এসব কাঁচামাল আমদানি ও সরবরাহকারি ট্রেডারদের কপালে চিন্তার ভাজ যেন স্পষ্ট, ফিডমিল বন্ধ হয়ে গেলে তারা চলবে কি করে সেই চিন্তায়।

দেশের প্রাণিজ খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের টিকে থাকা, না থাকার সমীকরণে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। কাঁচামালের অপ্রাপ্যতা ও ক্রমবর্ধমান মূল্য বৃদ্ধিতে বন্ধের উপক্রম ছোট ও মাঝারি  আকারের ফিডমিলসমূহ ( ভুট্টা, সয়াবিন মিল, ফুল ফ্যাট সয়াবিন সীড, আটা, রাইস পলিস, DORB) প্রাণিজ  খাদ্য উৎপাদনের উপকরণ সমূহ গত ৩ মাসের ব্যবধানে ৩০-৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু ফিড উৎপাদন  খরচ যেই হারে বেড়েছে, ফিডের দাম বাড়ানো যাচ্ছে না সেই হারে। ফিডমিল মালিকদের দাবী- বর্তমানে প্রতি কেজি ফিডে লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের সাড়ে ৩ থেকে ৪ টাকা! করোনা মহামারির ধাক্কায় ইতিমধ্যে ছোট আকারের অনেক ফিডমিল বন্ধ হয়ে গেছে। কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি ও দুস্প্রাপ্যতায় বন্ধ হওয়ার পথে ছোট-মাঝারি আরো কিছু ফিডমিল।

কাঁচামাল

মূল্য/টাকা (কেজি)

  এপ্রিল -জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর অক্টোবর বৃদ্ধির হার (%)
ভুট্টা ১৭ ২১ ২২ ৩৫.২৯
সয়াবিন মিল ৩৪ ৩৮ ৫৫ ৪৭.০
ফুলফ্যাট সয়াবিন ৩৬ ৪০ ৪৯ ৫২
রাইস পলিস ১৬ ২০ ২৫ ৫৬.২৫
সয়াবিন তেল ৮০ ৮৮ ১০০ ২০.০১
ডিওআরবি ১৫ ২০ ২১ ৪০

 

খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধির তালিকা

খাদ্যের ধরণ পূর্ব মূল্য/কেজি অক্টোবর মাসের মূল্য বৃদ্ধির হার (%)
ব্রয়লার ফিড ৪৫.০ ৪৬.০ ২.২৩
লেয়ার ফিড ৩৭.০ ৩৮.০ ২.৭০
সোনালী ফিড ৪১.০ ৪১.০ ২.৫০
মাছের ভাসমান খাদ্য ৫১.০ ৫১.০ ২২.০
মাছের ডুবন্ত খাদ্য ৪১.০ ৪১.০ ২.৫০

বি:দ্র: সর্বশেষ নভেম্বর মাসের ১১ তারিখ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী কাঁচামালের দাম অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে কোম্পানিগুলো ফিডের দাম কেজিতে আরো ২ টাকা বাড়িয়েছে।

এ সম্পর্কে বাংলাদেশে পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) সভাপতি মসিউর রহমান এগ্রিনিউজ২৪.কম কে বলেন, ফিড তৈরির কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি ও সংকট বর্তমানে এতটাই উদ্বিগ্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, টাকা দিয়েও সময়মতো কাঁচামাল পাওয়া যাচ্ছে না। খুব সহসাই এ সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে হচ্ছে না। কারণ, সারাবিশ্বের দানাজাতীয় শস্যের প্রায় ২৫% চায়না একাই মজুদ করে রেখেছে। তাছাড়া কোভিড-১৯ এর কারণে সারাবিশ্বে দানাদার জাতীয় খাদ্যের প্রতি মানুষের আগ্রহ আগের চেয়ে প্রায় ১০% বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে তৈরি হয়েছে সংকট, বাড়ছে আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়ছে এসব পণ্যের দাম।

মসিউর রহমান বলেন, তবে আমাদের দেশে যে হারে ফিড তৈরির কাঁচামালের দাম বাড়ছে সেটি আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সঙ্গতপূর্ণ নয়। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, সয়ামিলের দাম গেলো কয়েক মাসে যে হারে বেড়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে কিন্তু সেই হারে সেটির দাম বাড়েনি। সবচেয়ে বড় কথা, আস্ত সয়াবিন থেকে সয়াবিন তেল উৎপাদন করার পর বাই প্রোডাক্ট হিসেবে সয়ামিল উৎপাদন করে বাজারজাত করছে, সেগুলো তাদের কয়েক মাস আগে অপেক্ষাকৃত কম দামে ক্রয় করা। আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে, ইচ্ছেমতো এখন তারা দাম বাড়াচ্ছে। বিষয়টি সরকারের খতিয়ে দেখে নজরদারির আওতায় নিয়ে আসা উচিত। এই সংকটকালীন মুহূর্তে এসব কাঁচামাল আমদানির জন্য বহিঃবিশ্বের নির্ভরযোগ্য কোন উৎসের খোঁজ দিয়ে আমাদের সহায়তা করতে পারে সরকার।

দীর্ঘদিন ধরে ব্রয়লার মুরগির বাজারে এক ধরনের অস্থিরতা চলছে, ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন খামারিরা এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মসিউর রহমান বলেন, আমাদের বিশ্ববাজারে পোলট্রি পণ্য রপ্তানির দিকে সিরিয়াসলি নজর দিতে হবে এবং সেই অনুযায়ী দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে । শুধুমাত্র  দেশীয় বাজার ও ভোক্তাদের ওপর নির্ভর করলে খামারিরা টিকে থাকতে পারবে না। আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা অনুযায়ী পোলট্রি পণ্য উৎপাদনের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে । সেক্ষেত্রে নিরাপদ পোলট্রি মাংস ও ডিম উৎপাদন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে টিকে থাকার জন্য উৎপাদন ব্যয় কীভাবে কমিয়ে আনা যায় সে কৌশল নির্ধারন করতে হবে।

ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ফিআব) সাধারণ সম্পাদক মো. আহসানুজ্জামান এগ্রিনিউজ২৪.কম কে বলেন, যেভাবে কাঁচামালের দাম বাড়ছে তাতে করে ফিডের দাম না বাড়িয়ে উপায় নেই। ফিডমিলারদের এখন টিকে থাকাটাই মুশকিল হয়ে দাড়িয়েছে। অন্যদিকে মাছ, মুরগির দাম পাচ্ছে না খামারিরা। এক কথায় বলতে গেলে, সমগ্র শিল্প বিপর্যস্ত অবস্থায় পড়েছে।

ইব্রাতাস ট্রেডিং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং আস্থা ফিড লিমিটেড -এর চেয়ারম্যানে মোশারফ হোসেন চৌধুরী এগ্রিনিউজ২৪.কম কে বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের দাম বেড়েছে এ কথা যেমন সত্যি, ঠিক তেমনি এটিও সত্যি যে আমাদের স্থানীয় উৎপাদক ও ফড়িয়ারা তারচেয়ে বেশি দাম বাড়িয়েছে । বলতে পারেন, গুটিকয়েক প্রতিষ্ঠান ও সিন্ডিকেট বর্তমান সংকটকালীন মুহূর্তে ফিড তৈরির কাঁচামাল নিয়ে লোভের এক অসুস্থ প্রতিযোগিতা করছে।

মোশারফ হোসেন চৌধুরী বলেন, ফিড তৈরির মূল উপকরণ ভুট্টার দাম আন্তর্জাতিক বাজারে যতটা না বেড়েছে তারচেয়ে বেশি বাড়িয়েছে স্থানীয় ফড়িয়ারা। বর্তমান সময়ে যেটির দাম খুব বেশি হলে কেজিপ্রতি ২০ টাকা হওয়ার কথা থাকলেও সেটির দাম এখন ২৩ টাকা। অনেকের ধারনা স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ভুট্টার দাম বাড়লে কৃষকরা লাভবান হবে, কিন্তু এটি ভুল। কারণ, উৎপাদিত ভুট্টা এখন আর কৃষকের হাতে নেই। আসল লাভ করছেন মধ্যস্বত্বভোগীরা।

তিনি আরো বলেন, ফিড তৈরিতে ২৫-৩২% যে কাঁচামালটি ব্যবহৃত হয় সেটি হলো সয়াবিন মিল। আন্তর্জাতিক বাজারে সয়ামিলের দাম যেটুকু বৃদ্ধি পেয়েছে সে হারে স্থানীয়ভাবে দাম বাড়াতে গেলে কেজিতে ৩-৪ টাকার বেশি বাড়ার কথা না। কিন্তু আমাদের দেশে সয়ামিলের দাম বেড়েছে প্রায় ৬০ শতাশ। এটি চলে গেছে হাতে গোনা কয়েকটি বড় কোম্পানি নামক সিন্ডিকেটের দখলে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির দোহাই দিয়ে তারা এখন ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছে। কারণ, তারা জানে এখন বিদেশ থেকে কাঁচামাল আমদানির এলসি করলেও সেটি দেশে পৌঁছতে দুই-তিন মাস সময় লেগে যাবে। মজার ব্যাপার হলো, বর্তমানে যেসব সয়ামিল বিক্রি হচ্ছে সেটি তাদের আরো কয়েক মাস আগে কেনা যখন আন্তর্জাতিক বাজারে সয়ামিলের দাম কম ছিল।

মোশারফ হোসেন চৌধুরী এগ্রিনিউজ২৪.কম কে আক্ষেপ করে বলেন, দেশে যারা সয়ামিল উৎপাদন করছেন তাদের মূল ব্যবসা আসলে সয়াবিন তেল, সয়ামিল হলো তাদের বাই প্রোডাক্ট। কিন্তু বর্তমান অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, সয়ামিলই তাদের মূল পণ্য আর সয়াবিন তেল বাই প্রোডাক্ট। এভাবে চলতে থাকলে শুধুমাত্র আমরা ট্রেডার, খামারি এবং ফিডমিলাররাই নয়, বরং পুরো ইন্ডাস্ট্রিই হুমকির মুখে পড়বে। সুস্থ ও মেধাবী জাতি তৈরির সরকারের যে প্রত্যয় সেটি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। আমরা যে স্থায়ীত্বশীল ও টেকসই পোলট্রি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ শিল্প চাইছি, সেটি হুমকির মুখে পড়বে। একটা কথা মনে রাখতে হবে- সেক্টরের আয়তনের চেয়ে সে কতটা টেকসই ও স্থায়ীত্বশীল হলো সেটি গুরুত্বপূর্ণ।

নারিশ পোলট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি লিমিটেড এর মহাব্যবস্থাপক (বিক্রয় ও বিপণন) মো. সামিউল আলিম এগ্রিনিউজ২৪.কম কে বলেন, ফিডে লাভ করার চেয়ে টিকে থাকাটাই এখন আসল চ্যালেঞ্জ। কারণ, কাঁচামালের দাম যে হারে বৃদ্ধি পেয়েছে সে হারে ফিডের দাম বাড়ানো যাচ্ছে না। খামারিরা এমনিতেই ক্ষতির সম্মুখীন। কাঁচামালের হারে দাম বাড়ালে খামারিরা অস্তিত্বের সম্মুখীন হবে।

সামিউল আলিম বলেন, আমরা যাই বলিনা কেন, এসবের প্রভাব আলমেটলি পড়বে খামারিদের উপর এবং অবশেষে জনগণে উপর। চলতি করোনা মহামারি মুহূর্তে যেখানে মানুষের বেশি বেশি প্রোটিন পাওয়া দরকার সেই প্রোটিন প্রাপ্যতা অচিরেই হয়তো কঠিন হয়ে যাবে। যেসব খামারি এ মুতূর্তে ঝড়ে যাচ্ছে বা যাবে তাদের আবার উঠে দাড়ানো মুশকিল। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের জন্য ঘোষিত প্রণোদনার টাকা যাতে দ্রুত পান সে ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান এ সময় তিনি।

বাংলাদেশ পোল্ট্রি খামার রক্ষা জাতীয় পরিষদ -এর সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মহসিন এগ্রিনিউজ২৪.কম কে বলেন, করোনা মহামারির কারণে সারাবিশ্বেই উৎপাদনে একটা ধাক্কা লেগেছে। ভুট্টা, সয়াবিনও তার বাইরে নয়। অন্যদিকে চলতি বছরে অতিমাত্রায় বৃষ্টি ও বন্যার কারণে অনেক চাষির ভুট্টা নষ্ট হয়ে গেছে। এরফলে ভু্ট্টার দামই শুধু বাড়েনি, ফিডে মানহীন ভুট্টা ব্যবহারের আশংকা তৈরি হয়েছে।

খন্দকার মহসিন বলেন, আমরা খামারিরা দীর্ঘদিন ধরে এমনিতেই সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছেন। চলতি সংকটে ফিডের দাম বাড়ানো আমাদের জন্য আরো একটি ধাক্কা। বড় বড় কোম্পানিরা আপাতত মধ্যস্বত্বভোগী এবং এজেন্টদের কমিশন কিছুটা কমিয়ে ফিডের দাম সামান্য হলেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন। এছাড়া অন্য কোন উপায় দেখছি না।

বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, প্রতি ১ মে.টন (১০০০ কেজি) ফিড উৎপাদন করতে গড়ে ৭৫০ কেজি ভুট্টা ও সয়াবিনমিলের প্রয়োজন হয়। এ দুটো কাঁচামাল পোল্ট্রি ও মৎস্য খাদ্য উৎপাদনের মূল উপকরণ। চলতি বছর কোভিড-১৯ এর কারণে দেশী ও আন্তর্জাতিকভাবে এসব পণ্যের উৎপাদন ২৫-৩০  শতাংশ কমেছে। এছাড়াও দেশে বন্যা ও অতি বৃষ্টির কারণে গুদামজাত ভুট্টা নষ্ট হয়েছে। অন্য দিকে ২৫-৩০%  আমদানি নির্ভর ভুট্টা ও সয়াবিন ট্রেডাররা এ বছর খঈ করেনি বললেই চলে। ফলে বাজারে ব্যাপকভাবে দুষ্প্রাপ্যতা দেখা যাচ্ছে।

অন্যদিকে দেশে উৎপাদিত রাইস ব্রান ওয়েল বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। দেশে হাতে গুনা দু’ একটি সয়াবিনমিল প্রস্তুতকারক এ সুযোগে ইচ্ছেমত বাজার নিয়ন্ত্রণ করার ফলে দিন পেরুতেই প্রতি কেজিতে ১-২ টাকা মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে।

This post has already been read 8884 times!

Check Also

খামারীদের টাকা নিয়ে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার নয়-ছয়ের অভিযোগ!

মো. মাহফুজুর রহমান (চাঁদপুর সংবাদদাতা) : চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ ও উত্তরে ১৬০ জন খামারীর প্রত্যেকের …