সিলেট সংবাদদাতা: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, পেঁয়াজ, রসুন, ভোজ্যতেল সহ বিভিন্ন প্রকার কৃষিপণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধিতে কৃষকদের উৎসাহ দিতে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। উর্বর মাটিসমৃদ্ধ এই দেশকে কৃষিপণ্যে স্বাবলম্বী করতে আরও মনোযোগের সাথে কাজ করার জন্য কৃষকদের প্রতি আহবান জানান পরিবেশ মন্ত্রী। তিনি বলেন, এসকল পণ্য বিদেশ থেকে আমদানী করতে না হলে অনেক বৈদেশিক মূদ্রা সাশ্রয় হবে এবং দেশ অর্থনৈতিকভাবে আরো উন্নত হবে।
বুধবার (১৮ নভেম্বর) মৌলভীবাজারের জুড়ি উপজেলায় রবি ২০২০/২১ মৌসুমে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় সরিষা, সূর্যমুখী, গম, ভুট্টা, চিনাবাদাম ও বোরো উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ কার্যক্রম উদবোধন অনুষ্ঠানে তাঁর ঢাকাস্থ সরকারী বাসভবন হতে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে যুক্ত হয়ে প্রদত্ত প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে দেশের জনগণের মাথাপিছু আয় ১২০০০ ডলারের বেশি করার লক্ষ্যে কাজ করছে। সরকারের লক্ষ্য অনুযায়ী দেশের উন্নয়নে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সবাইকে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহবান জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, অতীতে গ্রামের মানুষদের তেমন কোনো ভোগ্যপণ্য কিনতে হতো না কারন তাঁরা নিজেদের জমিতে প্রয়োজনীয় সকল প্রকার ফসলের উৎপাদন করতো। কৃষির সেই সোনালী অতীত ফিরিয়ে এনে দেশের অর্থনীতিতে কৃষির অবদান বৃদ্ধি করতে সরকারের নানামুখী উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।
জুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল ইমরান রুহুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জুড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম, এ, মোঈদ ফারুক, উপজেলা পরিষদের ভাইসচেয়ারম্যান রিংকু রঞ্জন দাস, মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান রনজিতা শর্মা এবং উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ জসীম উদ্দিন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, রবি ২০২০/২১ মৌসুমে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় জুরী উপজেলার ৭০০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে ১৩৫০ কেজি সরিষা, সূর্যমুখী, গম, ভূট্টা, চিনাবাদাম ও বোরো বীজ এবং ৭৫০০ কেজি ডাই এমোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) ও ৬৮৫০ কেজি মিউরেট অব পটাস (এমওপি) সার বিতরণ করা হবে।