নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল) : আখ দুর্যোগসহনশীল ফসল। উচ্চমূল্যও বটে। একই জমিতে সাথীফসল হিসেবে চাষ করা যায় ডাল, সরিষা, পেঁয়াজ, ভুট্টাসহ অন্যান্য শস্য। ফলে বাড়তি আয়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়। তাই বিশুদ্ধ গুড় উৎপাদনের জন্য আখের আবাদ বাড়াতে হবে। চরের মাটি উর্বর। তাই মাঠ খালি রাখা যাবে না। প্রতি ইঞ্চি জমির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
দক্ষিণাঞ্চলীয় চরাঞ্চলে বিএসআরআই উদ্ভাবিত ইক্ষুজাতের চাষ ও স্বাস্থ্যসম্মত গুড় উৎপাদন’ শীর্ষক কৃষক মাঠ দিবসে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) অতিরিক্ত পরিচালক মো. আফতাব উদ্দিন এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএসআরআই) উদ্যোগে গত বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) বরিশালের মুলাদী উপজেলার ডিক্রিরচরে উক্ত মাঠ দিবসের আয়োজন করা হয়।
আয়োজক প্রতিষ্ঠানের ইনচার্জ খলিফা শাহ্আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের (আরএআরএস)মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রফি উদ্দিন এবং ডিএই’র উপপরিচালক মো. তাওফিকুল আলম।
বিএসআরআই’র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নিয়াজ মের্শেদের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি অফিসার মো. রেজাউল হাসান, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. বাবুল আক্তার, উজিরপুরের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদ, আখচাষি মো. গিয়াস হাওলাদার, হারুন ফকির প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে আরএআরএস’র প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. গোলাম কিবরিয়া, আঞ্চলিক কৃষি তথ্য অফিসার মো. শাহাদাত হোসেন, কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিক, উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. সাহাবুদ্দিন সাবু ও সংশ্লিষ্ট এসএএও সাহানা বেগম অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন। মাঠদিবসে ৮০ জন কৃষাণ-কৃষাণী অংশগ্রহণ করেন।