সিলেট সংবাদদাতা: কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর দক্ষিণ সুরমা সিলেটের সহযোগিতায় বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) এর ফলিত গবেষণা বিভাগের আয়োজনে নাজিরবাজারে কৃষক আবু সুফিয়ানের জমিতে বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।
জনসেবায় উদ্ভাবনের আওতায় ফলিত গবেষণা বিভাগ ব্রি-গাজীপুরের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মামুনুর রহমান প্রস্তাবনার আলোকে ৬টি জাতের ধান ব্যবহার করে অঞ্চল উপযোগী ধান উৎপাদন প্রযুক্তি প্রদর্শণী বাস্তবায়িত হয়। উক্ত প্রদর্শণীতে ব্রি ধান৪৯, ব্রি ধান৭১, ব্রি ধান৭৯, ব্রি ধান৮০, ব্রি ধান৮৭ এবং ব্রি ধান৯৩ জাতসমূহ এবং তাদের উৎপাদন প্রযুক্তি প্রদর্শিত হয়।
লালাবাজার ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন কৃষি পুনর্বাসন কমিটির সদস্য এডভোকেট মুহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে প্রদর্শনীর মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রি’র ফলিত গবেষণা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. হুমায়ূন কবীর।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি অফিসার এ. কে. আজাদ ফাহিমের সঞ্চালনায় বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট’র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মীর মেহেদি হাসান ও খন্দকার খালিদ আহমদ, দক্ষিণ সুরমা উপজেলার উপসহকারী কৃষি অফিসার মো. ফারুক আহম্মদ ও অর্ণব ধর চৌধুরী এবং বিশ্বনাথ উপজেলার উপসহকারী কৃষি অফিসার গোলাম রসুল, দি নিউ নেশন ও দৈনিক আজকালের খবর এর সিলেট ব্যুরো প্রধান শফিক আহমদ শফি, লালাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সৈয়দ ফয়জুল হোসেন ফয়লা, কুতুবপুর সিআইজি ফসল সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি সাজ্জাদ মিয়াসহ দক্ষিণ সুরমা ও বিশ্বনাথ উপজেলার শতাধিক কৃষকের উপস্থিতিতে উক্ত মাঠ দিবস বাস্তবায়িত হয়।
একই জমিতে পাশাপাশি ছয়টি জাতের ধানের বৈশিষ্ট্য, জাতের উপযোগী উৎপাদন প্রযুক্তি, ফসলের ক্ষতিকর পোকা-মাকড় দমনে আলোক ফাঁদ ব্যবহারসহ বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে কৃষকগণ জানতে পারেন এবং তাদের উপযোগী জাত নির্বাচন করতে সহজ হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে আগত সকল কৃষকদের প্রদর্শণী মাঠ পরিদর্শণ করানো হয়। উপস্থিত কৃষকরা পরবর্তী মৌসুমে উক্ত জাত সমূহ চাষাবাদের আগ্রহ পোষন করেন।
মেসার্স বীজ ঘর এর স্বত্বাধিকারী খলিলুর রহমান তার বক্তব্যে উক্ত প্রদর্শণীর বীজ সংগ্রহ করে পরবর্তী মৌসুমে বাজারজাত করবে বলে জানান।
নতুন এই প্রদর্শণীতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কৃষক, স্থানীয় বীজ উৎপাদক ও কৃষি গবেষক – এই চার অংশীদার জড়িত ছিলো।
মাঠ দিবস দক্ষিণ সুরমা ও বিশ্বনাথ উপজেলা ৬০ জন প্রশিক্ষণার্থীদের নিয়ে স্থানীয় এক মিলনায়তনে কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত প্রশিক্ষণে ব্রি’র ফলিত গবেষণা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. হুমায়ূন কবীর, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মীর মেহেদি হাসান ও খন্দকার খালিদ আহমদ প্রশিক্ষণ প্রদান করেন।